প্রথম পাতা • বিনোদন • লিড ৪
শেষ হলো ২০০ কোটি ইউরো বাজেটের কান চলচ্চিত্র উৎসব
ইমরুল শাহেদ : ১২ দিনের এই উৎসব শেষ হয়েছে ১৭ জুলাই শনিবার। ৭৪তম এই উৎসবের ‘আঁ সার্তে ইন রিগার্তে’ বিভাগে অংশগ্রহণ করেছে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটি। এক ঘণ্টা ৪৭ মিনিটের এই ছবিটি সুনাম ও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়ালেও পুরস্কৃত হতে পারেনি। সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছে কিরা কোভালেনকোর রুশ ড্রামা ‘আনক্লেচিং দ্য ফিস্টস’। স্পেশাল মেনশন পুস্কার জিতেছে তাতিয়ানা হুয়েজোর ‘নোচে দে ফুয়েগো’ (প্রেয়ার্স ফর দ্য স্টোলেন)। তাই বলে এই উৎসব থেকে বাংলাদেশ একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছে এমনটা বলা যাবে না।
তথ্যচিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে টাঙ্গাইলের একদল কিশোরী ফুটবলার ও তাদের কোচ কামরুন্নাহার মুন্নিকে নিয়ে নির্মিত ‘মুন্নি’ তথ্যচিত্রটি। এটি নির্মাণ করেছেন তাহরিমা খান। ‘ডকস-ইন-প্রোগ্রেস’ বিভাগে ‘মুন্নি’ জিতেছে ‘থিঙ্ক-ফিল্ম ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া বাংদেশি বংশোদ্ভূত আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী প্রিয়তি জিতেছেন ‘টপ মডেল’ পুরস্কার। তবে রেহানা মরিয়ম নূর ছবিটিও একেবারে বঞ্চিত হয়নি। ছবিটির যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশনার স্বত্ব নিয়েছে যৌথভাবে গ্রাসহোপার ফিল্ম ও গ্রাটিচুড ফিল্মস। রেহানা মরিয়ম নূর বিশ্বব্যাপী বিতরণের কাজ করছে জার্মান প্রতিষ্ঠান ফিল্মস বুটিক। এটাই বা কম কিসে।
এএফপির প্রতিবেদন বলা হয়, দুই কোটি ইউরো বাজেটের এবারের আয়োজনের পর্দা উঠবে ফ্রান্সের বিখ্যাত পরিচালক লিও কারা ‘অ্যানেট’ সিনেমার মাধ্যমে। এ বছর উৎসবের জন্য জমা পড়ে দুই হাজার ৩০০ সিনেমা, যার মধ্যে চার বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৬৩টি সিনেমা। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্বর্ণপামের জন্য প্রতিযোগিতা করে ২৪টি সিনেমা। উৎসবের প্রধান জুরি বিখ্যাত মার্কিন পরিচালক স্পাইক লি।
আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। ৩৭ বছর বয়সী একজন সহকারী অধ্যাপকের জীবন-সংগ্রামের গল্পে নির্মিত সিনেমাটিতে বিভিন্ন চরিত্রে আছেন সাবেরী আলম, আফিয়া জাহিন জায়মা, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই, ফারজানা বীথি, জাহেদ চৌধুরী মিঠু, খুশিয়ারা খুশবু অনি, অভ্রদিত চৌধুরী।
এটি সাদের দ্বিতীয় ছবি। এর আগে ২০১৬ সালে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ নামে একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। প্রোটোকল ও মেট্রো ভিডিয়োর ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমী চুয়া, নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু এবং সহ-প্রযোজনা করেছেন রাজীব মহাজন, আদনান হাবিব ও সাঈদুল হক খন্দকার। সিনেমাটির সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জ্বল ও সাউন্ড ডিজাইনার শৈব তালুকদার। সহ-প্রযোজনা করেছে সেন্সমেকারস প্রোডাকশন।