বাংলাবান্ধা বন্দরে রাজস্ব আদায় ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা
শোভন দত্ত : করোনা ভাইরাস মহামারীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিপর্যয় ঘটলেও নানা সংকটের মধ্যে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সচল থাকায় রাজস্ব আয় অব্যাহত রয়েছে। বন্দরটিতে গেল অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। করোনার মধ্যে সরকারের নির্দেশনা মেনেই বাংলাবন্দরে চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। আগের চেয়ে বেড়েছে রাজস্ব আদায়।
জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। নানা সংকটের মধ্য দিয়েও এ বন্দরে রাজস্ব আদায় হয় ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বাংলাবান্ধা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩১ কোটি ৫৯ লাখ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আদায় করা হয় ২১ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার টাকা।
এর আগের অর্থবছরেও রাজস্ব আদায় নির্ধারণ করা হয় ৩৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮১১ টাকা; আদায় হয় ২৫ কোটি ৭৩ হাজার টাকা। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৬ কোটি টাকা, আদায় হয় ১৮ কোটি টাকা।
বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনার কারণে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য আমদানি কমে গেছে। বন্দরের অবকাঠামো এখনও আধুনিক মানের হয়নি। ভালো অবকাঠামো গড়ে উঠলে আরও বেশি রাজস্ব আদায় হবে।
বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন জানান, করোনার মধ্যেও বাংলাবান্ধা বন্দরে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে দ্বিগুণ রাজস্ব আয় হয়েছে। বন্দরের অবকাঠামোসহ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। সেটি পূরণ হলে এ বন্দর দিয়ে শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব।
এ বন্দরের আমদানিকারক ও বন্দর শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
জাতীয় স্বার্থে এসব পরিহার করে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে আরও গতি ফিরে পাবে বাংলাবান্ধা বন্দর।’ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারি কমিশনার মবিন-উল-ইসলাম জানান, করোনার সময়ে স্থলবন্দরে সকল স্তরের কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও এখানকার ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।
১৯৯৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর নেপাল, ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে শুরু হয় ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ভুটান থেকে পাথর আমদানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্থলবন্দরের সঙ্গে চতুর্দেশীয় ব্যবসা কার্যক্রম চলমান। সূত্র : নিউজবাংলা, বাংলানিউজ। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও