২৫০ আইসিইউ ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে ২৫০টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছে আমেরিকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২৫০টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে তারা এগুলো পাঠাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহ।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় উপকরণ সংকটের আশঙ্কার মধ্যে আইসিইউ ভেন্টিলেটরগুলো আসার খবর এলো।
তিনি জানান, এসব আইসিইউ ভেন্টিলেটর গ্রহণে বিমানবন্দরে যাবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা চার চিকিৎসক নেফ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মাসুদুল হাসান, সাবেক সিনিয়র ইউএন কর্মকর্তা মাহমুদ উস শামস চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান ও কানাডায় বসবাস করা চিকিৎসক আরিফুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এগুলো আমার নামে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই আইসিইউগুলো (ভেন্টিলেটর) স্টোরেজ করা হবে। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে নেয়া হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে বিভিন্ন এলাকায় আইসিইউর জন্য হাহাকার বাড়তে থাকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে বিষয়টি।
গত ১৫ জুন একটি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনা রোগীর চাপ সামলাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেসামাল হয়ে পড়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডগুলো একের পর এক করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করছে; সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হাসপাতালের এক চতুর্থাংশ করোনা ইউনিটে রূপান্তর হয়েছে। তারপরও বেড সংকুলান করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
এমন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে একটি আইসিইউ বেডের আশায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করছেন রোগীরা। অবস্থা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে একটি আইসিইউ খালি পেতে অন্তত ৭০ জন রোগী সিরিয়ালে রয়েছেন।
২ জুলাই প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে উঠে আসে রংপুরে আইসিইউর জন্য হাহাকারের বিষয়টি।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রংপুর বিভাগে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া প্রয়োজন এমন রোগী।
তবে বিভাগের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে কোনো আইসিইউ শয্যা খালি নেই। স্বজনরা আইসিইউ শয্যার জন্য ছোটাছুটি করেও না পেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে নিয়তির উপর।
রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ১০০ শয্যার মধ্যে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১০টি। তবে ভেন্টিলেটর সুবিধা আছে আটটিতে।
অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ২০টি। সব মিলিয়ে জেলায় আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩০টি।