তাঁতীদের নামে আমদানি করা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
মারুফ মালেক : বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৩টি প্রাথমিক তাঁতী সমিতি কাঁচামাল আমদানি করে। কিন্তু এসব কাচাঁমাল সাধারণ তাঁতীদেরকে না দিয়ে তাঁত বোর্ডের যোগসাজসে বিভিন্ন স্পিনিং মিলের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হাজী আব্দুস সাত্তার।
হাজী আব্দুস সাত্তার ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাঁত শিল্পকে ধরে রাখতে শুল্ক মুক্তভাবে কাচাঁমাল আমদানি করার সুযোগ দেয় সরকার। কিন্তু প্রাথমিক তাঁতী সমিতির সাধারণ সদস্যদের এই সুবিধা না দিয়ে কয়েকটি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁত বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার কামনাশীষ দাসসহ একটি চক্র ১৯ নভেম্বর ২০১৮ইং ১০টি ও ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ৩টি চালানে মোট ১৩টি সমিতির নামে ‘যার স্মারক নং ২৪.০৫.০০০০. ৫২১..৩১.০৬০.১৮.৩৭ থেকে ২৪.০৫. ০০০০.৫২১. ২৬.০৩১.১৭.৩৯ পর্যন্ত’। ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার কাচাঁমাল কালোবাজারে বিক্রি করে। এ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ৩৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাত করেন তারা।
৩১ জুলাই ২০২১ইং তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, আমি ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ইং দায়িত্ব গ্রহন করেছি। আমি আসার পর কিভাবে সরাসরি তাঁতীদের এই সুবিধার আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।
তাঁত বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার কামনাশীষ দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।
প্রাথমিক তাঁতী সমিতির কয়েকটি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, এ বিষয়ে তাতঁ বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ নেই। বরং তারা আমাদের নামমাত্র কিছু সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের চাপ আসছে আমাদের ওপর।