সোহেল রহমান : জামালপুরের সোলার পার্কে ‘মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ করবে সরকার। ভারতীয় নমনীয় ঋণে (এলওসি-৩) এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত ‘রূরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’ (আরপিসিএল)। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়নের পরিমাণ হচ্ছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, আরপিসিএল দেবে ৭৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ১১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হবে ভারত থেকে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২৫ সাল নাগাদ মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর বিপরীতে ‘টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (স্রেডা)-এর হিসাব মতে, বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, এ প্রেক্ষিতে নবায়নযোগ্য (সৌর) শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি বহুমূখীকরণ ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়া ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। অন্যদিকে প্রকল্পটি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’র অভিষ্ট-৭ ‘সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি সহজলভ্য করা’- এর সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, প্রকল্পটি নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, প্রকল্পের আওতায় গৃহীত প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট ও কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) কাজ সম্পাদন; বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৩২৫ দশমিক ৬৫ একর ভূমি উন্নয়ন; ১৩২ কেভি ৪৭ কিলোমিটার (প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ঘাটাইল গ্রীড উপকেন্দ্র পর্যন্ত) পাওয়ার ইভাক্যুয়েশন লাইন ও ইভাক্যুয়েশন অবকাঠামো নির্মাণ; বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফিস ভবন, ওয়ার্কশপ, ওয়্যারহাউজ ও আনসার ব্যারাক নির্মাণ, ৮৮টি ভূমিহীন পরিবারকে পূনর্বাসনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ৩২৫ দশমিক ৬৫ একর ভূমির দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত গ্রহণ।