নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্র পাঠ করিয়ে স্বাধীন করেছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে এ দেশে রাজনীতি করা হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যারা নাৎসি বাহিনির সদস্য ছিলেন, সমর্থক ছিলেন তাদের ভোটারাধিকারও নেই নেদারল্যান্ডসে। কিন্তু এদেশে মুক্তিযুদ্ধে বিপক্ষের শক্তি রাজনীতি করছে, এমপি হয়েছে, মন্ত্রীও হয়েছে। এটা করেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। ’
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে গুটিকয়েক সেনা কর্মকর্তা বা সেনা জোয়ান হত্যা করেনি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হত্যাকা- হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল। এ প্রস্তুতির কথা এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। আলোচনায় অংশ নেন অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র বাদল এবং বিএফইজের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। এ ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য সাংবাদিক সমাজ দুই বছর ধরে বিশেষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। আশা করছি, শীঘ্রই কমিশন গঠন করা করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোজিত হবে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার কারণ শুধু ক্ষমতা দখল নয়। বাংলাদেশকে আবার পরাজিত পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাস পাল্টে ফেলতে চেয়েছিল। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও