রাশিদ রিয়াজ : আফগানিস্তানের গভর্নর আজমল আহমাদি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশটির জাতীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন অব্যাহত রয়েছে। টুইটারে গভর্নর বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো ডলারের মজুদ নেই। এরফলে আফগান মুদ্রার সঙ্গে ডলারের লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না। আফগান মুদ্রাকে ডলারের সংকট শক্তিশারী করতে দিচ্ছে না। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আরটি
আফগান মুদ্রা ডলারের তুলনায় হঠাৎ করেই ২৩ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়। এর ফলে এক ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ৮৩.৫০ আফগান মুদ্রা। টানা চারদিন ধরে আফগান মুদ্রার মান হ্রাস পাচ্ছে। ব্লুমবার্গ বলছে আফগান গভর্নর বলছেন তার পক্ষে দেশটির মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। মার্কিন ডলারের তুলনায় হঠাৎ করেই ১শ আফগান মূদ্রা পাওয়া যায়। অথচ বিনিময় হার ছিল প্রতি ডলারের বিপরীতে ৪১ আফগান মুদ্রা। শেষপর্যন্ত তা ৮৬’তে এসে নামে। আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের মুদ্রা বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পাকিস্তানের মুদ্রার মান ডলারের তুলনায় সোমবার ১.৮ সেন্ট কমেছে, যা গত মার্চ মাসে মূল্য নির্ধারণের পর সবচেয়ে বড় পতন।
আফগান গভর্নর আরো বলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও তার অনভিজ্ঞ পরামর্শকরা দেশের এ অবস্থার জন্যে দায়ী। তিনি আফগান সেনাবাহিনীর দেশটির জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। গভর্নর দাবি করেন কাবুল শহরের দ্বারপ্রান্তে তালেবানরা আসার আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন। গত রোববারও আমি কাজ শুরু করি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পলায়ন দেখে আমিওে ভীত হয়ে পড়ি। এক পর্যাওেয় আমি আমার ডেপুটির কাছে চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে সরে পড়ি।
কিন্তু আমি তা চাইনি। আফগান নেতাদের বিরক্তিকর ও পরিকল্পনাহীন কর্মকা- দেখে আমি হতবাক। কাউকে না জানিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে দেখি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর। ৪৩ বছরের এই গভর্নর আহমাদি বলেন এক সপ্তাহ আগে জারাঞ্জ দখলে নেওয়ার পর এত দ্রুত কাবুল দখলে নিয়েছে। এক বছর আগে আহমাদি গভর্নর পদে নিয়োগ পান। মার্কিন ট্রেজারিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আহমাদির। বিশ^ব্যাংকেও কাজ করেছেন তিনি। আহমাদি বলেন দেখলে বিশ^াস করা কঠিন কিন্তু আফগান সেনাবাহিনী এত দ্রুত তালেবানদের হাতে কাবুলের ভার ছেড়ে দিল কেনো এ প্রশ্ন অনেক আফগানের মনের কথা।