মডেল মসজিদ হবে ইসলাম প্রচার ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র
অর্থনীতি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য একটি ধর্মকে অপরাধী করা যায় না। যারা এর সাথে জড়িত, আশা করি তারা এ পথ সর্বনাশের পথ থেকে বেরিয়ে আসবে। একটা পরিবার ধ্বংস করে কেউ বেহেশতে যেতে পারবে এটা ভুল কথা।’ জঙ্গিবাদে জড়িতদের এ পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবার ধ্বংস করে বেহেশতে যাওয়া যাবে মনে করাটা ভুল।
প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষ খুন করলেই নাকি বেহেশতে চলে যাবে। এখন আমার প্রশ্ন, যারা এ পর্যন্ত খুন করেছে তারা কে কে বেহেশতে গেছে? কেউ কি বলতে পারবে? কেউ পারবে না। কিন্তু সবচেয়ে সর্বনাশ করে গেছে শান্তির ধর্ম ইসলামের।’ ‘আমি আন্তর্জাতিক যেসব সম্মেলনে গেছি, সেখানে যখনই ইসলামকে হেয় করা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ করেছি। বলেছি, মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য ইসলামের মতো একটা ধর্মকে অপরাধী করা যায় না।’ এজন্য জঙ্গিবাদের পথ থেকে যুব সমাজ থেকে শুরু করে সবাই যেন দূরে থাকে এ জন্য ইসলামী ব্যক্তিত্বসহ রাজনীবিদদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মানুষের সেবা করতে হবে, কল্যাণ করতে হবে। মানুষের ক্ষতি করে, হত্যা করে কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না। এটা ভুল কথা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লেবাস সর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসে নই, আমরা ইনসাফ ইসলামে বিশ্বাস করি। যে ইসলাম জগৎবাসীকে ন্যায় ও সৎ আদর্শের শিক্ষা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেন।’
তিনি বলেন, ‘কাকরাইলের ছোট মসজিদটি তাবলিগ জামায়াতকে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ব ইজতেমা যাতে বাংলাদেশে হয় সে জন্য টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানও ইসলামের রাস্তায় দিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করে মুসলিম বিশ্বের সাথে সংযোগ স্থাপন করে দিয়ে যান বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
একযোগে সারা দেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে, ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যা দূর করে ইসলামের সঠিক বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে। অত্যাধুনিক সুবিধা থাকবে মডেল মসজিদগুলোতে।
মসজিদগুলো ঢাকার সাভার উপজেলা, ফরিদপুরের মধুখালী ও সালথা উপজেলা, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর উপজেলা, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা, রাজবাড়ি সদর উপজেলা, শরিয়তপুর সদর ও গোসাইহাট উপজেলা, বগুড়ার শারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু উপজেলা, নওগাঁর সাপাহার ও পরশা উপজেলা সিরাজগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা, পাবনার চাটমোহর উপজেলা, রাজশাহীর গোদাগাড়ি ও পবা উপজেলা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল উপজেলা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা, পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জ উপজেলা, রংপুর জেলা, সদর উপজেলা । আরও মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকা উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, লোহাগড়া, মীরসরাইর ও সন্দ্বীপ উপজেলা, জামালপুর সদর ও ইসলামপুর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগর উপজেলা, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা, খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা, কুষ্টিয়া সদর, খুলনা জেলা, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নির্মিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরও ১০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর পর, নিজস্ব অর্থায়নে এটা সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প। বিশ্বে এ প্রথম কোনো সরকার একসেঙ্গ এই বিপুল সংখ্যক মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প করা হবে। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন, বিডিনিউজ, ঢাকা পোস্ট, সময়টিভি অনলাইন। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও
সঙ্গীত পরিচালক ইমনের প্রায় তিন কোটি
(প্রথম পৃষ্ঠার পর) নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামেবা বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ বা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন ইমন।
তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে শওকত আলী ইমন বলেন, নোটিশ এখনো পাইনি। দুই বছর আগে তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিল, আমি দিয়েছি। এরপর আর জানি না। অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে আমার বক্তব্য নেই।
শওকত আলী ইমন একাধারে সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, ও সঙ্গীত শিল্পী। দুই দশকে তিনি প্রায় ৪০০ চলচ্চিত্রের গানের সুর দিয়েছেন এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। তিনি ২০১৩ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন বলে জানা গেছে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও