মতিনুজ্জামান মিটু: পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির মাধ্যমে নেওয়া প্রকল্পে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির খরচকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এ দেশে অর্থায়নের একটি বড় অংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। দেশের বার্ষিক জিডিপির ৮১ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে যেখানে ১৯ শতাংশ আসে সরকার থেকে।
বুধবার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি’র একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর যৌথ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, জলবায়ু জনিত ক্ষয়-ক্ষতির অর্থায়নে বেসরকারিখাতকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির বিষয় গুলিকে সরকারের নেওয়া ও বাস্তবায়িত প্রতিটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এসব প্রকল্পে যদি ক্ষয়-ক্ষতির খরচ যুক্ত করা যায় তবে আমরা সহজেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ক্ষয়-ক্ষতি নিরসনে কাজ করতে পারবো। এক্ষেত্রে তিনি প্রশমন বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি পরবর্তী প্রজন্ম ও সুন্দর আগামীর জন্য একাজে বেসরকারিখাতকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার উপর জোর দেন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোজনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। এখন জলবায়ু প্রভাবের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিলেও কিছু সময় পরে আর মানিয়ে নেওয়া যাবেনা। অভিযোজন কোন সমাধান নয়। প্রশমনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নতুন উপায় বের করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। প্যারিস চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় যথাযথ ভাবে ঝুঁকি চিহ্নিত ও সেঝুঁকির মূল্যায়নের কথা বলেন। এসময় তিনি এ কাজে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে তাদের জন্য লাভজনক ব্যবসার দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।
সেমিনারে জলবায়ু পরিবর্তন মূল্যায়নের সময় এ ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন সেমিনারের বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও