৬ মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন পৌনে ৪ লাখ কোটি টাকা
অর্থনীতি ডেস্ক : নিত্যনতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস গুলোর লেনদেনে। গেল জুনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিল পেমেন্ট হয়েছে সর্বোচ্চ। তার আগের মাসেই মার্চেন্ট পেমেন্ট হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ।
সবমিলিয়ে এ বছরের প্রথম ৬ মাসে এমএফএসগুলোর মাধ্যমে মার্চেন্ট পেমেন্ট করোনার আগের ৬ মাসের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। আর বিল পেমেন্ট বেড়েছে দ্বিগুণের মতো।
টাকা পাঠানো কিংবা বিল পেমেন্ট, কেনাকাটা অথবা মোবাইল রিচার্জ- এ সবই এখন হাতের মুঠোয়। কোভিডে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বাস্তবতায় দরকারি নানা আর্থিক লেনদেন সারতে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএসগুলোর কার্যকারিতা এখন যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য তাই বলে। এতে দেখা যায়, গ্রাহকরা এখন শুধু টাকা তোলা কিংবা টাকা পাঠানোর মত প্রচলিত প্রয়োজনীয়তায়ই নয়, কোভিডের সময় বিভিন্ন রকম বিল প্রদান কিংবা কেনাকাটায় মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবহার বাড়িয়েছেন বহুগুণে। এই যেমন গেল জুন মাসেই এমএফএস গুলোর মাধ্যমে ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকার ইউটিলিটি বিল দেয়া হয়েছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার আগের মাসেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কেনাকাটা বা মার্চেন্ট পেমেন্টে হয়েছে রেকর্ড, ৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে করোনার আগের ৬ মাসে যেখানে এমএফএসগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকার, তাই এ বছরের প্রথম ৬ মাসে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। যা তার আগের ৬ মাসের চেয়েও প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি।
কেনাকাটায় এমএফএসগুলোর ব্যবহার বাড়ছে আরো দ্রুতহারে। করোনার আগের ৬ মাসে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৩ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার মার্চেন্ট পেমেন্ট এ বছরের প্রথম ৬ মাসে প্রায় ৫ গুণ বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার মত। যা তার আগের ৬ মাসের চেয়েও ৬৭ শতাংশ বেশি।
এ বছরের প্রথম ৬ মাসে এমএফএসগুলোর মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার, যার মধ্যে মে মাসে হয়েছে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার। সূত্র : সময়নিউজ অনলাইন, বাংলানিউজ। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত