অর্থনীতি ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে করোনা বিষয়ে নিজের জন্য নিজেকে সচেতন থাকার তাগিদ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে বক্তব্যে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
এর আগে বুধবার ১ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩০ আগস্ট এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ করা এবং সবাইকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্মের শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি করে ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় কোটি টিকা পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের পাশাপাশি একেকটা স্কুল-কলেজে কর্মরত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সবাইকে যেন টিকা দেওয়া হয়, সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিভিন্ন সংস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে যারা কাজ করে যাচ্ছে শুধু তাদের না, তাদের বাড়ির কাজের লোকজন, তাদের পরিবারের ড্রাইভারসহ অন্য সবাই যেন টিকার পায়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলো মেনে আমাদের স্কুলের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যার জন্য কিছু ফাইজারের টিকা এরই মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাচ্ছে। আরো পৌঁছাবে।’
সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘আরো অর্ডার দেওয়ার জন্য (ফাইজারের টিকা) আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়া অন্যান্য টিকাও আসছে। এজন্য টাকাও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এরইমধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছি। টিকা পর্যায়ক্রমে আসতে থাকবে। এগুলো রাখার পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা আমাদের নিতে হচ্ছে। এগুলো আমরা করে যাচ্ছি ।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, টিকা দেওয়ার পরও অনেকেই আবার করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু সেটা সেরকম মারাত্মক হয় না। সেজন্য সবাইকে আমি অনুরোধ করবো, একটু সাবধানে থাকার জন্য।’
বিশেষত যারা বিভিন্ন রোগ যেমন- হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিসের সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের সাবধানে থাকার জন্য অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে আমরা যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি, অনেক উন্নত দেশও তা নিতে পারেনি। আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে এবং আমরা শুরু থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে নিজেদেরও সজাগ থাকতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, নিজে সাবধানে চলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ, ঢাকা পোস্ট, সারাবাংলা। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও