আমিরুল ইসলাম : পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে বিপর্যয়ের পর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ হাজারের নিচে নেমে আসে সূচক। সবশেষ ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিলো ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্টে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতেই সূচক অতিক্রম করলো ৭ হাজার পয়েন্ট। এর ফলে প্রায় সাড়ে ১০ বছর পর ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়লো ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
শেয়ারবাজারের এই উত্থানকে কীভাবে দেখছেন, স্থায়ী হবে কি বর্তমান উলম্ফণ? ঊর্ধ্বগতির বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হওয়া উচিত কিনা জানতে চাইলে অর্থনীতিবদি অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারের ধর্মই হচ্ছে সবাই যদি মনে করেন শেয়ারবাজারের সূচক বাড়বে, তাহলে এটা বাড়বে। আর সরকার ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনও চায় সূচক বাড়–ক। তবে একটি বিষয় নিয়ে আমি শঙ্কিত যে অনেকগুলো খারাপ শেয়ারের দামও বেড়েছে, যেগুলোর কোনো ইনকাম নেই। এগুলো ৫ বা ১০ শতাংশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। এই বিষয়টি নজরদারিতে রাখতে হবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, কিছু ভালো শেয়ার তালিকাভুক্ত করতে হবে, সেটা যদি করতে পারে তা হবে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সবচেয়ে বড় সফলতা। বড় যে কোম্পানিগুলো এখনো শেয়ারবাজারের বাইরে রয়েছে সেগুলো লিস্টিংয়ে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে, যারা ব্যবসা করছে কিন্তু শেয়ারবাজারে নেই। বর্তমান বাজার স্থায়ী হবে কিনা তা সম্পর্কে বলা মুশকিল। পক্ষে-বিপক্ষে দু’দিকে বলাই মুশকিল। শেয়ারবাজারে ঝুঁকি তো আছেই।
তিনি বলেন, যারা শেয়ার কিনে তাদের অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে কিনতে হবে। তাদের জন্য আমি শুধু এটাই বলতে পারি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই বেশিরভাগ জাঙ্ক শেয়ার কিনেন। কারণ তাদের পুঁজিই কম। বাজার যদি পড়ে যায়, তাহলে সমস্যা তাদেরই বেশি হবে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সবসময়ই সতর্ক থাকতে হয়। কোম্পানি আছে কিনা, কোম্পানির ইনকাম আছে কিনা? অন্তত এইগুলো বিবেচনায় রেখে সতর্ক হয়ে এগুতে হবে। অনেক সময় অতি উৎসায়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে তারপর দেখা যায় ক্ষতি হয়েছে। আমরা যদি আশা করি শেয়ারবাজার কেবল বাড়তেই থাকবে, তাহলে এটা মূর্খতার পরিচয় হবে। এখানে কারেকশনও হতে পারে, সেটাকে গ্রহণ করে নিতে হবে।