নিজস্ব প্রতিবেদক : এতদিন নবম ও দশম শ্রেণির কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। পরিমার্জিত কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আগামী বছর পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে। ২০২৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে তা বাস্তবায়ন করা হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষাও থাকছে না। এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষার নাম ও গ্রেডিং পরিবর্তন হতে পারে। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল মিলিয়ে এইচএসসির ফলাফল দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও অষ্টমের সমাপনীকে পাবলিক পরীক্ষা বলছি না। দেখা যাবে প্রাথমিক শেষে একটা সনদ পেল, ক্লাস এইট শেষে একটা সনদ পেল।তিনি বলেন, অষ্টমে পাবলিক পরীক্ষা বলি বা পঞ্চমে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি। কিন্তু সেগুলো তো ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা, সেগুলো তো হবে তাই না? ক্লাস সমাপনী শেষে তো মূল্যায়ন হবে। আমরা বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের দিক থেকে তাদের যেখানে যেখানে সনদ দেওয়া হয়েছে, সেখানে সেখানে সনদ দেব। অষ্টম আর পঞ্চমের সমাপনী থাকবে না—এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমাপনী প্রতি ক্লাসেই থাকবে। শুধু তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ধরনের পরীক্ষা থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণির পর থেকে সব ক্লাসেই সমাপনী পরীক্ষা আছে।
তিনি বলেন, পঞ্চমে এবং অষ্টমেও আমরা সনদ দিয়ে দেব। সনদ দেওয়ার জন্য তো পাবলিক পরীক্ষার দরকার নেই।
পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষা থাকছে কিন্তু এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পিইসি-জেএসসি তো পাবলিক পরীক্ষা না। এগুলো ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এর আগে আমাদের যত শিক্ষাক্রম ছিল, সেগুলো একটু আলাদা ছিল। আমরা মনে করছি, শিক্ষার্থীদের এক স্তর থেকে আরেক স্তরে যাওয়াটা যেন সহজ হয় সেটি মাথায় রেখেই নতুন করে কিছু বিষয় সাজানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।