২০৫০ সালের মধ্যে ২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যূত হওয়ার শঙ্কা বিশ^ব্যাংকের জলবায়ু পরিবর্তনে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ
লিহান লিমা : বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ঘনঘন বন্যা এবং ফসল উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। ১ কোটি ৯৯ লাখ মানুষ হবে বাস্তচ্যূত। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই থাকবেন নারী।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচলেট মানবাধিকার পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ না কমালে এবং উন্নয়নের ব্যবধান কমিয়ে না আনলে আগামী তিন দশকের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০ কোটির বেশি মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলগুলো পরিণত হবে অভিবাসী হটস্পটে। সিএনএ
সোমবার প্রকাশিত গ্রাউন্ডসওয়েল প্রতিবেদনের দ্বিতীয়াংশে বলা হয়, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ধীর প্রভাবগুলো-পানির সহজলভ্যতা হ্রাস, ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবং সমুদ্রের স্তর বাড়ার মতো তিনটি ভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ ‘জলবায়ু অভিবাসী’তে পরিণত হতে পারে।
উচ্চ মাত্রার নির্গমন, অসম উন্নয়ত এবং হতাশাগ্রস্ত ভবিষ্যতের মুখে ছয়টি অঞ্চলের (ল্যাটিন আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, সাব সাহারা আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর) প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশ ছাড়তে পারে।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়বে সাব সাহারা আফ্রিকার মরুভূমিতে বসবাসরত, ভঙ্গুর উপকূলরেখা এবং কৃষি নির্ভর অঞ্চলগুলো। জলবায়ু অভিবাসীদের ১ কোটি ৯০ লাখই হবে উত্তর আফ্রিকার, যা এই অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ।