লাগাম টেনেও ধরা যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের দাম
মাসুদ মিয়া : কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের দাম। এবার সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে বেড়েছে চিনি, ডাল, ডিম ও মুরগির দাম বাড়তি দামে রয়েছে সবজি। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল পেঁয়াজও রসুন আদার দাম।
সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে ৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনির খুচরা মূল্য ছিল ৭৫ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে থেকে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, রসুনের কেজি ১০০ টাকা, আদার কেজি ১০০ টাকা পেঁয়াজ ৪৫ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালের দাম ১০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডালের কেজিপ্রতি দাম ছিল ৮০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০-১৫৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বিক্রি করছেন কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা। এর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২২০-২৩০ টাকা।
মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে রায়সাহেব বাজারের ব্যবসায়ী জাকির বলেন, খামারে মুরগির উৎপাদন কমেছে। অপরদিকে বাজারে বেড়েছে মুরগির চাহিদা। এ কারণেই দাম বেড়েছে।
পাঁচ ভাইঘাটলেন ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, ডাল, চিনিও ডিমের দাম বেড়েছে ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকার মধ্যে। নাজমুল আরও বলেন, কেজিতে চিনির মূল্য বেড়েছে ৫ টাকা চিনির কেজি খোলা ৮০ টাকা কেজি। মুসুরির ডাল কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে মোটা দানা ৯০ টাকা চিকন দানা ১২০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১০০-১২০ টাকা। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি করছেন ৯০-১০০ টাকা। এ দুটি সবজির দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে দাম বেড়েছে ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢ্যাঁড়শ, পটল, করলার। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৭০ টাকা। চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা।
এছাড়া পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। ঢ্যাঁড়শের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা।
কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২-৩০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১৫-২০ টাক, কলমি শাকের আঁটি ৫-১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম বলেন, বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে কিছুটা বেড়েছে সবজির দাম। তবে বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ছে। তাই আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে দাম কিছুটা কমে যাবে।
এদিকে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩৫০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৬০০ টাকা। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা।
আগের মতো বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশের কেজি বড় আকার বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে।