গ্যাসের অভাবে ইউরোপ জুড়ে তীব্র জালানি সংকট
রাশিদ রিয়াজ : ইউরোপের দেশগুলো কার্যত গ্যাসের অভাবে কয়লা ও জীবাশ্ম জালানির দিকে ফের ঝুঁকছে। ইউরোপের জালানি বাজারের বিশেষজ্ঞ সিমোনাস ভাইলিকিস রুশ বার্তা সংস্থা তাস’কে বলেছেন গ্যাসের অভাব ক্রমশ বাড়ছে কিন্তু বিকল্প শক্তি উৎস সৃষ্টি না হওয়ায় শিল্পখাতে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।
একই সঙ্গে গ্যাসের দামও বাড়ছে। তাই আগামী শীত মওসুমে এ সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বাধ্য হয়ে ইউরোপের দেশগুলো ফের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে চালু করতে পারে। কারণ তা না করলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা সম্ভব হবে না।
গত বুধবার কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দর বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯৭০ ডলার। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি যে আগামীতে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি করবে ইউরোপে তা সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে কয়লার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কার্বন দূষণ বাড়তে যাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। বায়ু কিংবা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভাবে ইউরোপ জালানি সংকটে পড়তে যাচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি ইউরোপের অর্থনীতিকে দুর্বল করতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে স্যাক্সো ব্যাংক। আরটি
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানি প্রতিযোগিতায় ইউরোপের দেশগুলো একই কারণে পিছিয়ে পড়তে পারে।
স্যাক্সো ব্যাংকের কমোডিটি স্ট্র্যাটেজি রিয়া নোভস্তিকে জানান অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় ইউরোপ পিছিয়ে পড়বে। রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস রফতানি হ্রাস ও নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপলাইনে গ্যাস রফতানিতে অনিশ্চয়তার কারণে এধরনের জালানি সংকট সৃষ্টির মূল কারণ। রাশিয়ার বড় গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ আগে জানায় ইইউ স্বীকৃতির অভাবে কোম্পানিটি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে পারছে না। নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপ লাইনকে স্বীকৃতি দিতে জার্মানি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এধরনের গ্যাস পাইপ লাইন থেকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশিয়ার চেয়ে অধিক মূল্য ইউরোপকে গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বৃদ্ধি করতে না পারলে ইউরোপকে আগামী শীতে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটে ভুগতে হবে। জার্মানি ও ফ্রান্সের শিল্পখাত এধরনের জালানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচেয়ে বেশি।