আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বড় পরিসরে টিকা দেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বড় পরিসরে টিকা দেয়ার প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে আমরা ১ কোটির অধিক মানুষকে টিকা দেব। এ ছাড়া চলমান টিকাদান কর্মসূচিও চলবে।
দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সারা দেশে কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। পাশাপাশি চালু রাখা হবে চলমান টিকা কর্মসূচিও।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের উদ্যোগে বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বড় পরিসরে টিকা দেয়ার প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে আমরা ১ কোটির অধিক মানুষকে টিকা দেব। এ ছাড়া চলমান টিকাদান কর্মসূচিও চলবে।
বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা আসছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা পাবার পাশাপাশি নতুন করে আরও ৭১ লাখ টিকা পাব। দুই দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত রাতে সিনোফার্মের আরও ৫০ লাখ টিকা এসেছে, আরও আসবে। ফলে আবারও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কোটি টিকা দেয়া হবে।
বিমানবন্দরে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষায় পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান জাহিদ মালেক। বলেন, জায়গা সংকটের কারণে ল্যাব তৈরিতে দেরি হয়েছে। গত পরশু দিন আমরা জায়গা ঠিক করে এসেছি।
বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা বলেছি, বিমানবন্দরের মধ্যেই জায়গা দিতে হবে। সেখানেই জায়গা রেখেছেন। আজকের মধ্যেই বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে। আজকে সন্ধ্যা থেকেই সেখানে মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বিমানবন্দরের বাইরে এরই মধ্যে ভ্রাম্যমাণ পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গতকাল থেকেই একটি মোবাইল ল্যাবের মাধ্যমে পিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। মোবাইল ল্যাবটি বাইরে বসানো হয়েছে। আজকে থেকে বেশ কয়েকটি কোম্পানি বিমানবন্দরের ভেতরে স্থাপনের কাজ শুরু করবে। আগামী ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই পিসিআর পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ আরও অনেকে।