পদ হারাচ্ছেন ফেসবুকের চিফ টেকনোলজি অফিসার মাইক শ্রোফার
সালেহ্ বিপ্লব : এ বছরই ফেসবুকে সিটিও পদে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। আগামী বছর নতুন চীফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ফেসবুকের আরেক পুরানো কর্মকর্তা এন্ডু বসওয়ার্থ। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ বুধবার অভ্যন্তরীণ এক বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছেন। ব্লুমবার্গ
মার্কের এই সরে যাওয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফেসবুক-নির্বাহীদের পদ ছাড়ার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। এমন এক সময় তিনি পদ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, যখন ফেসবুককে পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্যে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং এই চাপ ক্রমেই বাড়ছ। ফেসবুক আশা করছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তারা ফেসবুককে ক্লিন করতে পারবেন। আর শ্রোফারের টিম এই সফটওয়্যারটি তৈরি করছে।
১৩ বছর ধরে ফেসবুকে কাজ করছেন মার্ক শ্রোফার। তিনি এই সামাজিক নেটওয়ার্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল বাস্তবতা ও ব্লকচেইন দেখাশোনা করতেন।
তিনি ২০০৮ সালে ফেসবুকে যোগ দেন। ২০১৮ সালে চীফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে দায়িত্বভার নেন।
প্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান খুবই মর্যাদাপূর্ণ। প্রধান কার্যালয়ে তার ডেস্কটি ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ ও অপারেটিং চীফ শেরিল স্যান্ডবার্গের ডেস্কের পরেই। তিনি মূলত ফেসবুকের সব প্রতিষ্ঠানের ভুলভালের দিকে নজর রাখেন। আর এই নজরদারির সিস্টেম তিনিই ডেভেলপ করেছেন।
তার বাহিনী একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যা ফেসবুক থেকে অশ্লীল, বিদ্বেষপূর্ণ, গ্রাফিক ভায়োলেন্স এবং নীতিবিরোধী অন্যান্য কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুঁজে বের করে, এরপর সেগুলো ডিলিট করে দেয়।
কিন্তু এই প্রযুক্তি এখন আর যথেষ্ট নয়। ফেসবুককে খারাপ কনটেন্ট থেকে ক্লিন রাখার জন্য প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রচুর জনবলও ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণেই মার্ককে সরে যেতে হচ্ছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তাকে তার কাজেরই আরো উচ্চস্তরে পদায়ন করা হচ্ছে।
মাইক শ্রোফার আগামী বছর থেকে সিনিয়র ফেলো হিসেবে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন। কারিগরী খাতে মেধাবী লোক নিয়োগ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের তিনি সহযোগিতা করবেন।