প্রবাস ফেরত নারী শ্রমিকের ৬০ শতাংশ কর্মহীন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ৩ জনে একজন নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ৩৮ শতাংশ নারীর অভিযোগ, বিদেশ যাওয়ার পর তারা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। ৫২ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তাদের কাজে বাধ্য করা হয়েছে।
সোমবার বিলস এর প্রতিবেদনে উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, করোনাকালীন সময় প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ নারী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন, তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য শাকিল আক্তার চৌধুরী বলেন, কর্মী ফেরত আসার প্রধান কারণ তাদের প্রত্যাশা ও নিয়োগদাতাদের সুবিধার মধ্যে সমন্বয়হীনতা। বিদেশে পাঠানোর আগে নারী শ্রমিকদের যথাযথ তথ ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা না থাকাই এর জন্য দায়ী।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গবেষণাটি কিভবে করা হয়েছে আমার জানা নেই। তবে কর্মহীন বিষয়টি সঠিক না। আমরা বাংলাদেশে অবস্থানরত কর্মহীন প্রবাসীদের চিহ্নিত করেছি। আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৯৩৫জনকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি এখনো চলমান রয়েছে।
ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমদ খান জানান, করোনার মধ্যে যেসকল নারী শ্রমিক কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তবে পুরো ডাটা সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য জানিয়ে বলেন, কে কখন দেশে এসেছে, কতদিনের জন্য জন্য এসেছে তা যাচাই করতে হয়। সংস্থাটি দেশের ৩টি জেলার ১২টি উপজেলার তথ্য প্রতিবেদন সংযুক্ত করেছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যশোর, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামের ৪টি করে উপজেলায় এই গবেষণা চালানো হয়। সম্পাদনা : শরীফ শাওন