এবার বান্ডিলে জাল নোট ও টাকা কম থাকার কথা জানিয়ে সার্কুলার দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংকের গ্রাহক পর্যায়ে টাকার বান্ডিলে টাকার পারিমাণ কম থাকার অভিযোগ অনেক আগে থেকে। উচ্চ মূল্যমান নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকা। নোটের প্যাকেটে জাল নোট থাকার অভিযোগও নতুন নয়। তবে এসব বিষয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব বিষয়ে সর্তক করে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নিদের্শনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট মহাব্যবস্থাপক মো. রজব আলী স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত সার্কুলারসমূহে নোট গণনাকারী কর্তৃক প্রতিটি প্যাকেটে নোটের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্যাকেট ব্যান্ডিং করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখার নাম, সীল, নোট গণনাকারীর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত লেবেল বা ফ্ল্যাইলিফ লাগানোর বিধান থাকলেও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সরাসরি টাকার উপর সংখ্যা ও তারিখ লেখা, শাখার সিল, স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর প্রদান, স্ট্যাপলিং ইত্যাদি করা হচ্ছে। এতে করে নোটগুলো অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হবার পাশাপাশি গ্রাহকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে।
টাকায় লেখা বা সিল না দেয়ার বিষয়ে এ নিয়ে তিনবারের মতো এই নির্দেশনা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে প্রথম সার্কুলার জারি করে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় সার্কুলার জারি করা হয় ২০১৯ সালেল ৯ সেপ্টেম্বর।
মঙ্গলবারের সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিন নোট পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় যা মোটেই কাক্সিক্ষত নয়।
তফসিলি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্সি বা ব্যাংক নোট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে আবশ্যিকভাবে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট থাকার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সেখানে বিকৃত নোট, নন-ইস্যু নোট, দাবি নোট, ময়লা নোট, বিল্ট-আপ নোট, অসামঞ্জস্যপূর্ণ নোট ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে।
সেইসঙ্গে গণনাকৃত প্যাকেটে সঠিক সংখ্যার চেয়ে নোট কম থাকা; উচ্চ মূল্যমান নোটের প্যাকেটে কম মূল্যমানের নোট থাকা; উচ্চমূল্যের ভিন্ন ভিন্ন সিরিয়ালের দুটি দাবি নোটের অংশ নিখুঁতভাবে জোড়া দিয়ে; তৈরী করে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে রাখা এবং পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেটে জাল নোট থাকার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হচ্ছে।