সাকিবুল আলম : বিশ্বের একশোটি দেশের গবেষনালব্ধ তথ্য থেকে জানা যায়,পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় মানুষের মুখে খাবার তুলে ধরার লড়াইয়ে সবুজ বিপ্লবের চেয়ে ব্লু ইকোনোমির সম্ভাবনাই বেশি। ইউরো নিউজ.গ্রিন
ব্লু ফুড বা নীল খাদ্য বলতে সেসব খাদ্যকেই বোঝায় যা জলাশয় থেকে আহরণ করা হয়। ব্লু ফুড অ্যাসেসমেন্ট(বিএফএ) নামের একটি সংস্থা পরিচালিত পাঁচটি নতুন গবেষণা থেকে জানা যায়, জলজ উৎস থেকে প্রাপ্ত খাদ্য জলবায়ু পরিবর্তন এড়াতে ও অপুষ্টি প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাদের এ গবেষণাকর্মটি প্রকাশিত হূেয়ছিলো ন্যাচার পত্রিকায়।
আরো বেশি মানুষের কাছে ,আরো বেশি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এ গবেষণাটি করা হয়েছে। এ গবেষণায় আরো অংশ নিয়েছিলো স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ওশেন সলিইউশন, সেন্টার অন ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য ইনভায়রনমেন্ট,দ্য স্টকহোম রেসিলিয়েন্স সেন্টার এবং ইএটি নামের একটি অলাভজনক স্টার্টআপ।
এ গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সীফুডের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এই বর্ধিত চাহিদা পূরণের জন্য চিরাচরিত মাছ চাষএর পরিবর্তে বিজ্ঞানসম্মত অ্যাকুয়াকালচারের প্রতি বেশি নজর দেয়ার কথা জানিয়েছে তারা। নতুন প্রযুুক্তি ও কৌশল অবলম্বন করে মাছ চায়ের মাধ্যমে প্রায় ৮ শতাংশ বেশি খাদ্য উৎপাদন সম্ভব বলে দাবি করেছে গবেষণা দলটি। অর্থাৎ আরো ১৩.৬ মিলিয়ন টন জলজ খাদ্য আমাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত হবে।
নিম্ন আয়ের দেশগুলোর নিউট্রিয়েন্টের অভাব পূরণে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বজুড়ে ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানেও এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
বেন হালপার্ন নামের একজন মেরিন ইকোলোজিস্ট বলেছে, এই প্রথমবারের মতো আমরা বড় পরিসরে বিভিন্ন মৎস্য প্রজাতি নিয়ে একশোরও বেশি গবেষণার তথ্য-উপাত্ত একত্র করেছি।