আমিরুল ইসলাম : গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে যে এলএনজির দাম ছিলো প্রতি এমএমবিটিইউ ৩ দশমিক ৮৩ ডলার, সেখানে এখন তা কিনতে হচ্ছে ২৯ দশমিক ৮৯ ডলার দিয়ে। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, গত একসপ্তাহে এশিয়ার বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশেররও বেশি। এলএনজির দাম যখন বেড়েই চলছে, এ অবস্থার মধ্যেই আগামী বছর নতুন চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, যেগুলোর জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহার করবে এলএনজি। এলএনজির ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য সংকট উত্তরণের উপায় কী জানতে চাইলে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম আরও বলেন, আমাদের বিদ্যুৎখাত উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভ্রান্তিকর এবং দূরদর্শিতার সংকট রয়েছে।
এলএনজির দাম এখন বাড়বে। এতো দামের এলএনজি আমরা আমদানি করতে পারবো না। ২০১২-২০১৩ সালে তরল জ¦ালানির দাম বেড়েছিলো তখন আমরা বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট না চালিয়েও কম চালিয়ে ভর্তুকি সাশ্রয় করেছিলাম। বিদ্যুৎ সংকট মেনে নিয়েছিলাম। আবারও সেই দিকেই যাচ্ছি আমরা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের উত্তোলন আমরা বাড়াচ্ছি না। চারদিক থেকে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এসব কথা কানেই নেয় না। সরকারকে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিতে হবে। সরকার এ খাতে বিনিয়োগ করবে না, এ রকম আমদানি করেই চালাবে। এলএনজির ও কয়লার ওপর নির্ভরশীল হবে। এটা তো সরকারের পলিসি। এই পলিসি যে আত্মঘাতী সেটি আমরা বারবার বলেছি।
তিনি বলেন, এলএনজি সমস্যা সমাধানের জন্য খুব দ্রুত কিছু করা যাবে না। এগুলোর বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনামাফিক চলতে হয়। নানা ধরনের ফুয়েল ডাইভারসিফিকেশন লাগে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কোন সময় কী করবো? আমদানি না করেও কীভাবে কষ্ট করে বেঁচে থাকতে পারবো, এসব পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে হয়। এগুলো পরিকল্পনায়ই নেই। এখন হঠাৎ করে কিছু করা যাবে না।