মো. আখতারুজ্জামান : কৃষকদের ব্যাংকমুখী করতে ২০১৪ সালে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর জন্য ২০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিলের অর্থ বাড়িয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযাই গত জুন পর্যন্ত ১০ টাকার ব্যাংক হিসাবধারী ৫৯ হাজার ২৮৭ জন কৃষকের অনুকূলে ২২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়। মার্চ প্রান্তিকের তুলনায় ঋণ বেড়েছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। তবে গত বছরের জুনের সঙ্গে তুলনা করলে ১০ টাকা হিসাবধারীদের ব্যাংক ঋণ কমেছে ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির নতুন স্বাভাবিক ধারায় ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর পর কৃষকদের ব্যাংক হিসাবে ঋণ বিতরণ বাড়বে, এমন প্রত্যাশাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। গত মার্চে ৫৬ হাজার ২৮৮ কৃষকের ব্যাংক হিসাবে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ছিল ২১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গত জুনে ৬৬ হাজার ৮৪৪ কৃষকের হিসাবে বিতরণ করা ঋণের স্থিতি ছিল ৩৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ১০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলা একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিতে পারেন। এই ঋণের বিপরিধে কৃষককে কোনো জামানত দিতে হবে না। ঋণের সুদহারও কম। মাত্র ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ১০ টাকার হিসাবধারীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৮ লাখ ৫৯ হাজার ১৯৮টি। এসব হিসাবে আমানত জমা ছিল প্রায় ৪৪৭ কোটি টাকা। গত মার্চের তুলনায় জুনে আমানত বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
জানা গেছে, কৃষকদের এসব ব্যাংক হিসাব পরিচালনার জন্য কোনো সার্ভিস চার্জ দিতে হয় না। কৃষকদের মতো অতিদরিদ্র ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতাপ্রাপ্তরাও ৫০ ও ১০০ টাকা জমা দিয়ে এ ধরনের ব্যাংক হিসাব খুলেছেন।