নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, পুড়ছে নি¤œ ও মধ্যবিত্তরা
মাসুদ মিয়া : রাজধানীতে বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে পেঁয়াজ রসুন আদা চিনি দাম। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সব সবজির দাম। হতাশায় রয়েছেন নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারগুলোতে বয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানী কক বা সোনালী মুরগির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পেঁয়াজের কেজিতে দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে কেজি আদার কেজি ২০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। রসুনের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি ভালো মানের।। চিনির কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা প্যাকেট ৮৮ টাকা টাকা। শীতের আগাম সবজি শিম ও ফুলকপির দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। শিম কিনতে ক্রেতাদের কেজিতে ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আর ছোট একটা ফুলকপি কিনতে লাগছে ২৫-৩০ টাকা। টমেটো ও গাজর কিনতেও ক্রেতাদের কেজিতে একশ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে।
বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮৫, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০থেকে ১৭৫টাকা। পাকিস্তানী কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা।
লক্ষ্মী বাজারের ব্যবসায়ী বলেন, একদিকে বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে সরবরাহ কমেছে। এ কারণে গত কয়েকদিনে পাইকারিতে মুরগির দাম অনেক বেড়েছে।
এদিকে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, পেঁয়াজ রসুন আদা চিনির দাম বাঁড়ার ব্যাপারে পাঁচ ভাই ঘটলেন ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজারের হালচাল দেখে মনে হচ্ছে সামনে আরও বাড়বে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১০০ টাকা । শিমের মতো গাজর ও টমেটো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।
এছাড়া ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
আগের মতো ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ছোট এক আটি লাল শাকের জন্য ক্রেতাদের ১০ থেকে ১৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। মুলা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা আটি। ৫ থেকে ১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে কলমি শাক।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী সরদার সামাদ শেখ বলেন, শীতের আগাম সবজির সরবরাহ দিন দিন বাড়ছে। কিছুদিন পর সরবরাহ আরও বাড়বে, তখন সবজির দাম কমে আসবে। সামনে সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।
মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।
এদিকে বাজারে এখন ছোট ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ৪০০টাকা মধ্যে সাইজ দাম ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা তবে তুলনামূলক বেশি বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।