ঢাকাকে নান্দনিক শহর গড়তে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চাইলেন অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী ঢাকার চারিপাশের নদীগুলোর পুনরুর্জ্জীবন ও সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক শহর ঢাকা মহানগরীকে আরও অধিকতর নান্দনিক শহরের পাশাপাশি যোগাযোগ সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহযোগীতায় একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট গ্রহণের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টেকে আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ এর বার্ষিক সভা-২০২১ এর অংশ হিসাবে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম ম্স্তুফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফারে নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এবং বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রিডিরেক্টর মার্সি টেম্বনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রীক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি খাতে সহজ শর্তে আরও অধিকতর অর্থায়নের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি হস্তান্তর ও বেসরকারি খাতেও সহযোগীতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি অনুরোধ করেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দক্ষতা ও সক্ষমতার কথা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলে অবহিত করেন।
হার্টউইগ শেফার বিশ্বব্যাংকের আইডিএ সম্পদের সর্ববৃহৎ ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি ওউঅ অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমগ্র বশ্বে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশের এই দক্ষতা ও সাফল্যকে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর বার্ষিক সম্মেলনে যথাযথভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে ওউঅ খাতে উন্নত ও ধনী দাতাদেশ সমূহের অধিকতর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনে নেতৃত্ব প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বব্যাংকের ওউঅ খাত থেকে সহায়তা গ্রহণের ৫০ বছর পূর্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার ও জনগনকে শুভেচ্ছা জানান।
অর্থমন্ত্রী সভায় অবহিত করেন যে, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ মহামারী কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্হ জনগন ও ব্যবসায়ীগণকে বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে পরিচালনার ব্যবস্হা গ্রহণ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে এই ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।
হার্টউইগ শেফার দারিদ্র দূরীকরণ, দুর্যোগ মোকাবেলাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজণীত পরিস্হিতিতে বাংলাদেশের গৃহিত লাগসই পরিকল্পনা ও এ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যরও প্রশংসা করেন। এ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্য বিদ্যমান সম্পর্কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করেন।