সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর ঢাবির হল
শরীফ শাওন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আজ রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় হলে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৫ অক্টোবর অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পুর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থী অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে সকাল ৮টা থেকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ হলে উঠছে। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল এবং রোকেয়া হল পরিদর্শন করেন।
রোববার শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উপাচার্য বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও নীতিমালা মানার ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা সবসময় সচেতন। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই করোনা টিকার আওতায় এসেছে। যারা এখনও নেয়নি, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শহীদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র করা হয়েছে। এনআইডি কার্ডের জন্য যারা টিকা নিতে পারছে না, তাদের জন্য টিএসসিতে বুথ স্থাপন করে এনআইডি নিবন্ধনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শতভাগ শিক্ষার্থী আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে টিকার আওতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি ও হল কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য তিনি শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
হল পরিদর্শনকালে শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সংশ্লিষ্ট হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।