চীন বিতর্কের পর আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা চাকরিতে বহাল
রাশিদ রিয়াজ : ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার বিষয়টি নিয়ে আইএমএফ’র বোর্ড মিটিং বেশ কয়েকদিন অব্যাহত ছিল। চীনের পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি একটি প্রতিবেদনে পক্ষাপাতিত্ব করেছেন এমন অভিযোগ ওঠার পর তাকে আইএমএফ প্রধান হিসেবেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আইএমএফ’র নির্বাহি বোর্ড এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময় দিল যখন বিশ^ব্যাংকের তহবিল নিয়ে বার্ষিক সভা শুরু হয়েছে। ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদনে চীন এবার বিশে^ ৭৮তম স্থানে রয়েছে যা ২০১৮ সালে ছিল ৮৫তম।
আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে ক্রিস্টালিনার পর্যালোচনার সময় উপস্থাপিত তথ্য চূড়ান্তভাবে দেখানো হয়নি। বিশ^ব্যাংক ক্রিস্টালিনার ভূমিকার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্যে আইন সংস্থা উইলমারহেলকে নিয়োগ দেয়।
এই আইন সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাংক নেতৃত্ব চীনের তথ্য পরিবর্তনের জন্য অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগ করেছে।আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জর্জিয়েভা এই অভিযোগকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, আমি আইনগত সংস্থার ফলাফলের সাথে মৌলিকভাবে একমত নই। আইএমএফ’এর প্রধান হওয়ার আগে ক্রিস্টালিনা ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ^ব্যাংকের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নোবেল বিজয়ী এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ বলেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ক্রিস্টালিনার বিরুদ্ধে এধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যে অভ্যুত্থানের মত অপচেষ্টা চলছে। দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নে ক্রিস্টালিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন স্টিগলিটজ।