ডিএসইতে আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন দর পতনের বৃত্তে শেয়ারবাজার
মাসুদ মিয়া: দেশের শেয়ারবাজার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে টানা চার কার্যদিবস ধরে দর পতনের বৃত্তে রয়েছে শেয়ারবাজার। এদিন শেয়ারবাজারের সব প্রধান প্রধান সূচক কমেছে। একই সাথে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইতে) আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে প্রথম চার মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিট পার না হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।
সকাল ১০টা ২৯ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৬ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর আবার কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার কারণে বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এ দফাতেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
লেনদেন অংশ নেওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার কারণে দুপুর ১টা ২২ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে যায়। এই দরপতনের মধ্যে আবার কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে বড় পতন থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ২৪৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। প্রধান মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯টির। আর ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে গত ২৮ জুলাই ডিএসইতে এর থেকে কম লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয় ১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
লেনদেন কমার দিনে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৮২ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, এনআরবিসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং জিনেক্স ইনফোসিস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও