অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি বই কেনার অর্থ এককালীন চায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর
সোহেল রহমান : গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক নির্বাচিত দেশের ১২৬টি গ্রন্থাগারের জন্য বই ক্রয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)-তে বরাদ্দকৃত অর্থ এককালীন ছাড় চায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘দেশের লাইব্রেরিসমূহে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপি’র আওতায় ৩ কোটি টাকার বই কেনার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৭৫ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা চলতি মাসের মধ্যেই ছাড়করণে ইতোমধ্যেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বরে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা এড়াতে বই কেনার কাজটি একসঙ্গে সম্পন্ন করতে হয় এবং একই সঙ্গে সকল লেখক ও প্রকাশকের বিল পরিশোধ করতে হয়। এ কারণে চলতি মাসের মধ্যেই অর্থ ছাড় ও বই কেনার কাজ শেষ করতে চায় অধিদপ্তর। প্রকল্পের আওতায় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি টাকার বই কেনা হয়েছে। সূত্র জানায়, এদিকে মনোনীত ১২৬টি গ্রন্থাগারে বই সরবরাহে প্রকল্পে কোনো অর্থ সংস্থান রাখা হয়নি। এমতাবস্থায় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আওতাধীন দেশের সকল জেলা গ্রন্থাগারের মাধ্যমে বইগুলো নির্বাচিত লাইব্রেরিগুলোতে পোঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, দুই বছর মেয়াদী ‘দেশের লাইব্রেরিসমূহে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর বিপরীতে প্রথম কিস্তির অর্থ বাবদ ৫ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করা হয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও