বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে এনজিও ফাউন্ডেশন অবদান রাখছে : অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন’ (বিএনএফ) ক্ষুদ্র একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্ষুদ্র পরিসরে বাংলাদেশের উন্নয়ন পথযাত্রায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এনজিও’র মাধ্যমে সুবিধা-বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, অসহায়, অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে সংস্থাটি দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার গ্রামে ১ হাজার ১২০টি এনজিও (সহযোগী সংস্থা) ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে হতদরিদ্র মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।
রোববার ‘বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন’-এর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দুটি ভূগর্ভস্থ বেইজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট এ ভবনটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ভবনটি নির্মিত হলে ফাউন্ডেশনের দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ অধিকতর শক্ত ও স্থায়ী ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে করছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন’ বিশেষ ঋণ কর্মসূচি হিসেবে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। সংস্থাটি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও প্রান্তিক ও অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় সরকার থেকে আয়-বিধায়ক তহবিল হিসেবে ১৬২ কোটি টাকা প্রাপ্ত অনুদানের অর্জিত মুনাফা থেকে সহযোগী সংস্থাগুলোকে ১৫৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদানের পরেও বর্তমান আয়-বিধায়ক তহবিলে স্থিতি রয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। এটা অবশ্যই ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের ইঙ্গিত বহন করে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহযোগী এনজিও’র প্রতিনিধিবৃন্দ। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।