[১] ক্রমাগত সার্কুলেশন বৃদ্ধি, নিউজপ্রিন্টের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অথচ বিজ্ঞাপনের আয় হ্রাসের ফলে গত কয়েকমাস আমরা মহা আর্থিক সংকটে।
[২] এই সংকট অপ্রত্যাশিতভাবে দীর্ঘজীবী হচ্ছে, পত্রিকার সহকর্মীদের উদার সহায়তা ও ত্যাগ স্বীকার সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে।
[৩] এই আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।
[৩.১] প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সার্কুলেশন বৃদ্ধি উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং হবে।
[৩.২] অফিসে এবং আমাদের বাসায় বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও কৃচ্ছ্রতার নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
[৩.৩] আমাদের অসমাপ্ত বাড়ির সকল ব্যয়বহুল অবশিষ্ট কাজ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
[৩.৪] বিজ্ঞাপনী আয় বাড়াতে সকলে মিলে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
[৩.৫] কয়েকজনের কাছে আমার কিছু পাওনা রয়েছে। সেগুলো আদায়ে পদক্ষেপ নিয়েছি।
[৩.৬] আমার কিছু সখের জমি আছে, এর কয়েকটি বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
[৩.৭] অদূর ভবিষ্যতে এক বা একাধিক অংশীদার যেন খুঁজে পাই, সে ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।
[৩.৮] পরিস্থিতি দাবি করলে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে আরো কিছু কর্জ করতে হতে পারে, অনন্যোপায় হলে ব্যাংক থেকেও আরো কিছু ঋণ নিতে হতে পারে।
[৪] আমরা আশা করছি, ইনশাআল্লাহ নিউজপ্রিন্টের দাম খুব শীঘ্রই কমতে শুরু করবে। বিজ্ঞাপনের আয় ও আদায় দুটোই কিছু কিছু করে বাড়বে এবং ক্রমবর্ধমান সার্কুলেশন থেকেও আদায় বাড়বে।
[৫] সবমিলিয়ে ডিসেম্বর ২০২১ এর শেষ নাগাদ আমাদের সংকট সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। ততদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য সকলকে বিশেষ অনুরোধ।