রাশিদ রিয়াজ : পাবলো পিকাসোর ১১টি চিত্রকর্ম নিলামে উঠানোর পর দাম উঠেছে ১১০ মিলিয়ন ডলার। লাসভেগাসের বেলাজিও রেস্টুরেন্টে এক বছর ধরে চিত্রকর্মগুলো শোভা পাচ্ছিল। পিকাসোর ১৪০তম জন্মবার্ষিকীতে এ নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। লাসভেগাসে এর আগে এতবড় চিত্রকর্মের নিলাম আর হয়নি। ১৯৩৮ সালে পিকাসোর প্রিয়তমার একটি পোট্রেট ‘ফেমি অউ বেরেট রাউজ-অরেঞ্জ’ ও ‘ওম্যান ইন এ রেডিস-অরেঞ্জ হ্যাট’ সবার নজর কাড়ছে। ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত পিকাসোর সঙ্গে এক স্প্যানিশ নারীর প্রেম চলে এবং তাদের ঘরে ১৯৩৫ সালে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মেয়েটির নাম রাখা হয় মায়া। নানা বর্ণে পিকাসোর আঁকা তার প্রেয়সীর ছবি বলে দেয় তার সঙ্গে কালজয়ী ওই চিত্রশিল্পীর কি গভীর প্রেম ছিল। সিএনএন
পিকাসোর একটি চিত্রকর্ম নিলামের আগে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দাম উঠবে বলে মনে করলেও তার দাম উঠে যায় ৪০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪ কোটি ডলার। ফ্রান্সে পিকাসো ১৮৮১ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত তার দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের সময় পিকাসোর আঁকা ‘ন্যাচার মর্টি অউ প্যানির ডি ফ্রুটস এট অক্স ফ্লিউর্স’ ছবিটি বিক্রি হচ্ছে ১৬.৬ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া আরেকটি ছবি বিক্রি হয় ৮.৩ মিলিয়ন ডলারে। ‘ হোমি এট এনফ্যান্ট’, ‘ম্যান এন্ড চাইল্ড’ নামে দুটি ছবি বিক্রি হয়েছে ২৪ মিলিয়ন ডলারে। তবে ১৯৬২ সালে টেরাকোটায় আঁকা ‘লি ডেজিউনার সার ওয়ান হারবি’ চিত্রকর্মটি চতুর্থবারের মত সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়েছে।
আবার নিলামে একটি ভাস্কর্যযুক্ত সাদা কলসের গায়ে তিনটি মুখ খোদাই রয়েছে এমন একটি চিত্রকর্মের মূল্য ৬০ থেকে ৮০ হাজার ডলার হলেও তা শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ডলারে। নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথবি গত আগস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় নিলামটি শিল্প সংগ্রহের মধ্যে ‘বৈচিত্র এবং অন্তর্ভুক্তিকে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে। নিলামে আয়ের কিছু অর্থ শিল্পের বাজারে আবার বিনিয়োগ করা হবে।