সোহেল রহমান : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পুঁজিবাজারে লাভ-লোকসান দুটোই আছে। কেউ যদি শুধু লাভের আশায় বিনিয়োগ করেন, তাহলে ঠিক হবে না। সারাবিশ্বেই শেয়ারবাজার একইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। লাভের জন্য আপনি আসবেন, কিন্তু ঝুঁকির বিষয়টিও আপনার মাথায় রাখতে হবে। ঝুঁকি মেনেই বিনিয়োগ করতে হবে। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের আমি বলব, আপনারা দেখেশুনে বিনিয়োগ করুন।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যা যা নীতি-সহায়তা দরকার, সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে। অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে, পুঁজিবাজার তত মজবুত হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাপোর্ট দেব।
২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, বিষয়টি এখন বন্ধ কেনÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঠিকই বলেছেন, একসময় উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। নানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শেয়ার ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো যখন লাভজনক অবস্থায় আসবে, তখন পর্যায়ক্রমে আনা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লেও অভ্যন্তরীণভাবে এর প্রভাব পড়েনি। বাজারে সবকিছুর দাম চড়া থাকলেও মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, প্রতিনিয়ত তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
ডলারের বাজারে অস্থিরতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডলারের দাম ওঠা-নামা করবে, এটাই স্বাভাবিক। দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। চাহিদা বেশি থাকলে দাম বাড়বে, আর কম থাকলে দাম কমবে। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না।