শরীফ শাওন : ইলিশের প্রজনন মৈসুম উপলক্ষ্যে দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রি বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ে ভারতে অনুমোদনকৃত ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি। নিষেধাজ্ঞা শেষে নির্ধারিত ইলিশ রপ্তানিতে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির সময়ীমা বৃদ্ধি করে এ নির্দেশনা দেয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৪০ মেট্রিক টন করে সর্বমোট ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ হতে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ইলিশ মাছ রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি। তাই ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা আগামী ৫ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানিকৃত পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনরূপ বিধি-নিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ সমাপ্ত হবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব কন্ট্রাক্ট এ ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ৪ থেকে ২৬ অক্টোবর দেশে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকার, পরিবহন ও বিক্রয় বন্ধের নির্দেশনা দেয় সরকার। এ সময় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত চিঠির বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস এক সংবাদে জানায়, এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারতের বাজারে কালীপুজো এবং ভাইফোঁটায় ইলিশের আধিক্য দেখা যাবে। এর আগে বাংলাদেশের কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক ঘটনার উত্তাপ ভারতে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ইলিশ সম্প্রিতিতে টানাপোড়নের আশঙ্কা করেছিল ভারত।