কারখানায় ফ্রিজ মোটরসাইকেল এসি উৎপাদনে কর কমলো
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় ইলেট্রনিক খাতের কয়েকটি পণ্যে কর সুবিধা দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, কম্প্রেসার ও এয়ার কন্ডিশনার।
উৎপাদনমুখী এসব প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর বর্তমানের ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এখন থেকে উৎপাদনমুখী এসব প্রতিষ্ঠান বছরে ১০০ টাকা মুনাফা করলে এর বিপরীতে কর দিতে হবে ১০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ টাকা। আগামী ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে ।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এ সুবিধা পেতে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, ইলেকট্রনিক এবং অটোমোবাইল খাতে দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বাড়তি কর সুবিধা দেয়া হলো। এর ফলে একদিকে দেশীয় ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার ও কম্প্রেসার দামে সাশ্রয়ী হবে। অন্যদিকে, করোনার ক্ষতি কাঠিয়ে ওই সব খাত চাঙা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজার, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার ও কম্প্রেসার তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর তারিখ থেকে কেবল শিল্পের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর আয়কর ৩০ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হলো।
কর সুবিধা পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে এর মধ্যে রয়েছে-
শিল্পপ্রতিষ্ঠানটিকে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে। কারখানাগুলোতে তাদের নিজস্ব ছাঁচ এবং ডাইভ তৈরির সুবিধা, পলি ইউরেথেন ফোমিং প্ল্যান্ট, পাউডার আবরণ প্ল্যান্ট থাকতে হবে। নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার থাকতে হবে। আয় বছর শেষ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বা নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে বা অন্য কারখানা স্থাপনের জন্য কোম্পানিগুলোকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়ের ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ সমর্থনকারী উপযুক্ত নথিও জমা দিতে হবে। অব্যাহতি পাওয়া কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে এনবিআর কর্তৃক প্রদত্ত অব্যাহতি বাতিল করবে।