জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে প্রবাসীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করার চেষ্টা করছি
ভূঁইয়া আশিক রহমান : আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেছেন, বিশ^ব্যাংকের সহায়তায় বিদেশে যেতে অনিচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য ৪২৫ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে সরকার। পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ থেকে শ্রমিকের চাহিদা আসছে। প্রবাসীদের দেশের প্রতি টান ও দুই শতাংশ ইনসেনটিভ দেওয়ায় রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ যদি বিদেশে চাকরিতে নিয়োগ পান, ভিসা দেখাতে পারলে কোনো রকম মর্টগেজ ছাড়াই ঋণ পাবেন। প্রবাসীদের পাশে সরকার বা বিএমইটি আছে এবং সবসময় থাকবে।
প্রবাসীদের অনেকেই দেশে এসেছেন, কিন্তু ফেরত যেতে পারেননি, অথবা বিদেশে আর যেতে চান না, কারও কারও বয়স হয়ে গেছে, বারবার বিদেশে গেলে পরিবারের প্রতিও আগ্রহ কমে যেতে পারে। পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারেন না, মন খারাপ থাকে। তাদের জন্য ৪২৫ কোটি টাকার একটা ফান্ড গঠন করেছে সরকার। এতে বিশ^্যাংক সহায়তা করছে। ২০২২ সালে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে।
দুই লাখ লোক প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পের আওতায় আসবেন। তাদের প্রথমে তালিকাভুক্ত করা হবে। তারপর নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে। বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বুদ্ধি দেওয়া হবে। প্রজেক্ট বানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। যেন কোনোভাবেই নিজেদের দুর্বল না ভাবেন।
দেশের ৩০টি জেলায় রি-এন্ট্রিগেশনের অফিস হবে। সেখান থেকে বিদেশ ফেরত কর্মীদের তালিকা করা হবে। তাদের সরকারি সুবিধার আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি জেলা ম্যানপাওয়ার অফিসও সাপোর্ট দেবে। প্রবাসীরা যেন কোনোভাবেই দিশেহারা না হন। কোভিডকালে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ গিয়েছিলো, আমাদের মন্ত্রণালয়ে কমপক্ষে ১৮টি মিটিং হয়েছে, যাতে তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়, বিদেশে আবারও যেতে পারেন, জোর করে যেন ফেরত না পাঠানো হয়। এর ফল মিলছে। বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানোর প্রবণতা অনেক কমেছে।
এমনও সময় গেছে, দেশে ফেরত প্রবাসীদের কাছে যতোদিন টাকা থাকতো, ততোদিন সমাজ তাকে দাম দিতো। টাকা ফুরালেই আপনজনও তাদের পাশে থাকতো না। কিন্তু দিন বদলে যাচ্ছে। সরকার এখন প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশে ফেরত প্রবাসীদের টাকা ফুরিয়ে গেলেও কোনো একটা সেবার আওতায় সরকার তাদের আনবে।
প্রবাসী কেউ একজন একটা কাজ জানেন, কিন্তু সার্টিফিকেট নেইÑএই পরীক্ষা সরকার নেবে।
পরীক্ষার ফি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ নগদ টাকা দেওয়া হবে। কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট না থাকলে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ব্যাংক ঋণ প্রয়োজন হলে সেটাও দেবো। আইডিয়া না থাকলে তাও দেওয়া হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে সরকার ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে ঋণ দেওয়ার জন্য। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা। ৭০০ কোটি টাকা কোভিডকালীন প্রেক্ষিতে বিশেষ প্রণোদনা ঋণ। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নিজস্ব যে তহবিল আছে, কেউ যদি বিদেশে নিয়োগ লাভ করেন, ভিসা দেখাতে পারলে কোনো রকম মর্টগেজ ছাড়াই ঋণ পাবেন। কোনো মর্টগেজ দিতে হবে না। সাধারণত সিকিউরিটির জন্য পরিবারের কারও স্বাক্ষরিত ব্যাংক চেক লাগে, তিনি যদি টাকা ফেরত না দেন, অন্তত কেউ একজন দেবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য জমি দিতে হয় না। বাড়ি বন্ধক দিতে হয় না। বড় কোনো খরচও নেই।
বিশে^র ২১টি দেশে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করেছি আমরা। কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে না গিয়েও ব্যক্তিগত উদ্যোগে যদি কেউ ভিসা পান, সেটা ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিএমইটির পক্ষ থেকে ইস্যু করবো। কারও কাছে যেতে হবে না। ইউকে কিংবা কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউএসএ-র ভিসা পেয়েছেনÑআপনাকে কোনো এজেন্সির কাছে যেতে হবে না। বিএমইটিতে এলে ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাবেন। ক্লিয়ারেন্স সবাইকে নিতে হয় না। যারা বিদেশে কর্মে নিয়োজিত হন, তাদেরই কেবল ক্লিয়ারেন্স দরকার। এটা সহজ করার জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
দুই কারণে আমাদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। [১] প্রবাসীদের দেশের প্রতি টান [২] দুই শতাংশ রেমিটেন্স ইনসেনটিভ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী ভাইবোনদের জন্য যে ইনসেনটিভ ঘোষণা করেছিলেন, এর ফলে রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বাঙালিদের কোমল হৃদয় আছে। কোভিডের কারণে প্রবাসে থাকা অনেকের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা হচ্ছে। তারা যখন মনে করেছেন পরিবারকে বেশি টাকা দেওয়া দরকার, যেকোনো উপায়েই হোকÑ বেশি টাকা পাঠিয়েছেন বা পাঠাচ্ছেন দেশে। রেমিটেন্স সাসটেইনেবল করতে বা বাড়াতে হলে দক্ষ কর্মী বিদেশে যেতে হবে। উচ্চ বেতনের চাকরি পেতে হবে। এজন্য উচ্চতর দক্ষতা লাগবে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে আমরা ভবিষ্যতেও ভালো করতে পারবো।
পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ থেকে শ্রমিকের চাহিদা আসছে। কিন্তু সেসব দেশে আমাদের দূতাবাস নেই। নতুন শ্রমবাজার দ্রুত ধাবমান করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, তা আমাদের কম আছে। আবার যে দেশে শ্রমবাজার আছে, তাদের দূতাবাস আমাদের দেশে নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ভিসা আনার জন্য দিল্লি যেতে হয়। নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টিতে এসব বড় বাধা। অন্য দেশে গিয়ে ভিসা আনতে গেলে খরচের ও সময়ের ব্যাপার থাকে। এসব শ্রমবাজার যখন ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হবে, বিশ^ যখন করোনা পরবর্তী সময়ে আরও একটু সহজ হবে, তখন এসব শ্রমবাজারে ব্যাপকভাবে আমাদের কর্মীরা যেতে পারবেন। রোমানিয়া, পোল্যান্ড, সার্বিয়া, বসনিয়া, আলবেনিয়া, পূর্বদিকে মরিসাসÑএসব বাজার নিয়ে নতুন করে মানুষ চিন্তা করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমাদের প্রচুর মানুষ চলে গেছেন। এসব দেশে আর নতুন করে যাওয়ার মতো জায়গা কতোটুকু আছে তাও ভাবতে হবে। লাখ লাখ লোক একেক দেশে গেলে কদর কমে যায়। ফলে আমাদের নতুন শ্রমবাজারে যেতে হবে। যারা বিদেশে যেতে চান, তাদের নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকেও গবেষণা করার দরকার আছে। আমাদের পক্ষ থেকে উৎসাহ, উদ্দীপনাও আছে। নতুন শ্রমবাজারকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মিশনগুলোর লেবার উইংগুলোকে আমরা অনুরোধ করি, নানান রকম নির্দেশনা দিই।
ভালো কাজ দেখাতে পারলে বিশ^ শ্রমবাজার আমাদের পক্ষে চলে আসবে। আরও বহু লোক যেতে পারবেন। এক-দুজন গিয়ে যদি খারাপ করেন, তাহলে আমাদের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদেশে যারা কর্মী হিসেবে যাবেন, তাদের কাছে অনুরোধÑএমন কাজ করুন যাতে বাংলাদেশকে বিদেশের মানুষ সম্মান করেন। বাংলাদেশের কর্মীরা দক্ষ, নীতিবান তা যেন তারা মনে করেন। তাহলে বেশি সংখ্যক কর্মী বিদেশে যেতে পারবেন।
দেশে প্রতিবছরই নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাব নেই। কলকারখানা গড়ে উঠছে। ২০-২২ লাখ লোক প্রতিবছর কর্মবাজারে আসে, এর মধ্যে ৭-৮ লাখ বিদেশে যান। যে পরিমাণ লোক শ্রমবাজারে আসে তার ওয়ান থার্ড লোক বিদেশে যান। বাকি-টুথার্ড লোকের মধ্যে ৪-৫ লাখ লোক বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকা বা উপযুক্ত পদ্ধতি না জানা, দালাল দ্বারা প্রতারিত হওয়া, অর্থের অভাবে, পারিবারিক পিছুটানসহ-নানান কারণে যেতে পারেন না।
বিএমইটির (জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো) প্রধান উদ্দেশ্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের প্রশিক্ষিত করা। বিদেশের বাজার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। তাদের নিবন্ধিত করা, ক্লিয়ারেন্স কার্ড দেওয়া। বিদেশে যাওয়ার পরও তাদের লুকআফটার করা, যেন যোগ্যতা অনুসারে কাজটা পায়। দেশে তাদের পরিবারেরও লুকআফটার করার জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কাজ করে। প্রয়োজনে যেকোনো সহযোগিতা করে।
প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার ক্ষেত্রে এতোদিন বিভিন্ন রকমের অসুবিধা ছিলো। যেমন বিদেশ যাওয়ার জন্য সিলেক্টড হয়েছেন কেউ, যে খরচ লাগে তা দিতে পারছেন না। তখন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আমরা তাদের সহজ শর্তে তিন দিনের মধ্যে ঋণের ব্যবস্থা করে দিই। কারও প্রশিক্ষণ না থাকলে টিটিসি বা সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ৭০টা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। মাত্র ১২ টাকা ভর্তি ফি, ১২ টাকা মাসিক ফি ভিত্তিতে নিয়ে লেভেল ওয়ান ট্রেনিং করানো হয়। পর্যায়ক্রমে লেভেল টু-থ্রি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে সবকিছুতেই একটা জমজমাট পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। সবাই যেন টিটিসিতে ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ নিতে যান। প্রশিক্ষণ মানে শুধু কাজের দক্ষতা নয়। প্রশিক্ষণ হচ্ছে ভাষার দক্ষতা। বাজার যাচাই করার সক্ষমতা। কতো টাকা দিলে বিদেশ যাওয়া যায়Ñতা জানতে পারা। ঋণ সুবিধা পাওয়া। ডাইরেক্ট রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জব ফেয়ারে বিদেশ যাত্রা। আমরা ক্লিয়ারেন্স কার্ড দিই। সেটা যতোটা সম্ভব সহজ করার চেষ্টা করি। পর্যায়ক্রমে সব সহজ করে দিচ্ছি।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্প কারখানাগুলোতে বিদেশি অনেক ম্যানেজার আছেন। ৪-৫ লাখা টাকা বেতন পান। আমাদের নাগরিকদের যারা বিদেশে জ্ঞান অর্জন করছেন, দক্ষতা অর্জন করেছেনÑএদেশেও তাদের চাকরির বাজার আছে। তারা যদি দেশপ্রেমে আকর্ষণবোধ করেন, দেশের চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে চান, এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে। কারণ দেশের মানুষ দেশে কাজ করবেন। বিদেশে মেবাধী মানুষেরা চলে গেলে দেশের ক্ষতি। আবার দেশে যদি কর্মপরিবেশ না থাকে, তাহলে তাদের আটকে রাখাও ক্ষতি। আমাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে।
মেবাধীদের দেশে ফেরত আসার সুযোগ তৈরি করতে হবে আগে। তবে আমাদের মন্ত্রণালয় যেহেতু বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করে, বিদেশ থেকে ডেকে আনা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে পড়ে না। যারা বিদেশে যাচ্ছেন কর্মী হিসেবে, একইসঙ্গে উচ্চতর পেশাদার কর্মী যেন বিদেশ যেতে পারেন, সেটা অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
দেশে অনেক বিশ^বিদ্যালয় হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ও আছে। সেসব থেকে পাস করা গ্রাজুয়েটরাও যেন উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকরি করতে যেতে পারেন, তা নিয়ে ভাবারও সময় এসেছে। শুধু অল্প বেতনে স্বল্পশিক্ষিত ওয়ার্কার বিদেশে যাবেন না, পেশাদাররাও যাবেন। সম্মানজনকভাবে যাবেন। তারা লাখ লাখ টাকা আয় করবেন। দেশে টাকা পাঠাবেন। নিজেরাও দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। সুশিক্ষিত মানুষ বিদেশে গেলে শ্রমের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
অদক্ষরা গেলে বিদেশে আমাদের সম্পর্কে ধারণা হয়, বাংলাদেশে বুঝি এমন মানুষই আছেন! আমাদের দেশে ওয়ার্কার আছেন, আমাদের উচ্চতর প্রযুক্তিবিদ আছেন, প্রকৌশলী, চিকিৎসকও আছেন। উচ্চশিক্ষিত ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাও আছেন। সব ধরনের মানুষই বিদেশে যাওয়া দরকার। বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষিত হয়ে দেশেও ফেরত আসা দরকার। আসা-যাওয়া দুটোই সমানভাবে থাকা প্রয়োজন।
ডিপারচার অরিয়েনটেশন যেন আগেই করে ফেলা যায়, সেই চিন্তাভাবনা আমরা করছি। অর্থাৎ কেউ বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছেন, তিনি আগেই প্রি-ট্রেনিং নিয়ে রাখলে যাওয়ার সময় অস্থির হতে হবে না। ক্লিয়ারেন্স কার্ড লাগে। শেষ মুহূর্তে ক্লিয়ারেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করে লোকজন। এটা আরেকটু আগে থেকে করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। অনলাইনেই ক্লিয়ারেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনিং কোথায় নিতে হবে, এটা বিদেশ যেতে ইচ্ছুকরা আগে থেকে জানতেন না, এখন সব টিটিসি খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নিতে পারবেন।
প্রবাসীদের ভ্যাকসিনের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সফলও হয়েছি। ৪-৫ লাখ প্রবাসীর ভ্যাকসিন আমরা দিতে পেরেছি। প্রবাসীদের পক্ষে আছি বলেই তা সম্ভব হয়েছে। সরকার সহযোগিতা করেছে। প্রবাসী কর্মীদের সরকার পছন্দ করে। ভালোবাসে। এ কারণেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাসপোর্ট করতে দিলে যাতে সহজে পাওয়া যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দিলে যদি দ্রুত পাওয়া যায়, ট্রেনিং সেন্টারে এলে যদি সহজে ট্রেনিং পাওয়া যায়, বিএমইটি যদি সহজে ক্লিয়ারেন্স কার্ড দেয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যদি সহজে ঋণ দেয়, তাহলে সম্মিলিত প্রয়াসেই একটা গতি পাবে অভিবাসনে।
একক শক্তির চেয়ে যৌথ শক্তিতে আমরা বিশ^াস করি। বিএমইটি যেন প্রবাসীদের প্রাণের কেন্দ্র হয়, সেই চেষ্টা আমরা করছি। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেন একটি সফল প্রতিষ্ঠান হয়। আমাদের তো কোনো বিকল্প নেই। একটাই প্রতিষ্ঠান। বিএমইটিকে আরও সুচারু ও আইটি বেইজড করতে হবে যেন অফিসে না এসেও কাজ হয়ে যায়। প্রবাসীদের জন্য বলাÑসামনে এমন দিন আসবে সব সেবা অনলাইনে পাবেন। প্রবাসীদের সঙ্গে সরকার তথা বিএমইটি আছে এবং থাকবে।