অর্থই সর্বসুখ কিনতে পারে
রাশিদ রিয়াজ : ভিজুয়ালক্যাপিটালিস্ট ডটকমের গবেষণা বলছে হাতে অনেক টাকা থাকার অর্থই হচ্ছে সংকট কমে যাওয়ার নামান্তর। তার মানে বেশি টাকা মানে বেশি সমস্যা নয়। বছরে মোটামুটি ৮০ হাজার ডলার আয় করতে পারলে সুখ হাতের আয়ত্বে থেকে যায়। কারণ এধরনে অর্থ আয়ের সঙ্গে সুখ রৈখিকভাবে বেড়ে যায়। কেউ অর্থ উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারলে সে স্বস্তি খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কষ্ট হ্রাসের সক্ষমতা অর্জন করে। এধরনের আয় তাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তা করার প্রবণতাকে শক্তিশালীভাবে বাধা প্রদান করে। ফলে তাদের মধ্যে অজ¯্র ইতিবাচক বিষয় সুখের অনুভূতি নিয়ে আসে। কারণ এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ সে অনুভব করে যা অর্থ আয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাকে সুখের স্তরে নিয়ে যেতে থাকে।
গবেষণায় ৭৪ শতাংশ মনে করেন প্রকৃতপক্ষে, নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি তাকে একধরনের মানসিক সুস্থতা এনে দেয়। আবার সাধারণত যারা কম আয় করেন তারা যদি অর্থমূল্য আমলে না নেন তাহলে তারাও সুখি হতে পারে। অন্যদিকে অর্থকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করার কারণে ধনীরা সুখি হয়ে ওঠেন। কারণ অর্থের ব্যবহারও সে গুরুত্বপূর্ণ কাজে করে এবং সামগ্রিক মঙ্গল সম্পর্কে নিজেকে ভালভাবে উপস্থাপন করে যা তাকে সহজে সুখের কাছে নিয়ে যায়।
এক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনে একজন ব্যক্তির মেজাজ এবং অনুভূতি তার আয়ের সঙ্গে তারতম্য ঘটতে পারে। বিষয়টি মূল্যায়ন করে দেখা গেছে উচ্চ আয়ের সাথে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নি¤œ আয়ের মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়নি। যেহেতু কেউ বেশি উপার্জন করে, তাদের এমন জিনিস কেনার ক্ষমতা থাকতে পারে যা কষ্ট কমায়। এটি বিশেষভাবে সত্য যখন নি¤œ থেকে মাঝারি আয়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে তা তুলনা করা হয়। গবেষণায় এও মনে করা হয় বেশি টাকা মানেই বেশি সমস্যা নয়।