সোহেল রহমান : আগামী পনেরো দিন থেকে এক মাসের মধ্যে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে।
সোমবার সচিবালয়ে ই-কমার্স সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমাদের একটি কমিটি ইতিমধ্যেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ইউনিক বিজনেস আইডি’র একটি নমুনা তৈরি করেছে। বৈঠকে এর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। আমরা সেটা প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছি। এ-টু-আই এটি ডিজিটাল করে দেবে। ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণসহ অন্যান্য কর্মকৌশল আগামী এক মাসের মধ্যে জানানো হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, যারা ই-কমার্স ব্যবসা করবে, তাদের আবশ্যিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে এবং এটা অনলাইনেই করা যাবে। আশা করছি, ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যে অনুশাসন দিয়েছেন, আমরা মনে করি, দুই মাসের মধ্যেই ইউনিক আইডি’র বিষয়ে আমরা সাড়া পাব।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, বৈঠকে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ই-কমার্স খাতের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর তিনটি পৃথক তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটিতে ১৯টি, আরেকটিতে ১৭টি ও অন্য একটি থেকে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তালিকাটি সমন্বয় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফিন্যানন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ (বিএফআইইউ)-এ পাঠিয়ে দেয়া হবে। বিএফআইইউ এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য আমাদের দেবে। চলতি মাসের ১১ তারিখে মন্ত্রিসভায় আমাদের একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে (৯ নভেম্বর) আমাদের নিজেদের একটি বৈঠকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইবাছাই করে তারপর সেগুলো মন্ত্রিসভায় সুপারিশ আকারে পাঠাবো।
তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আপাতত গোপন রাখতে চাচ্ছি। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত না হলে তাদের ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়বে। তবে ইভ্যালি বা ইতিমধ্যে আরও যেগুলোর নাম ইতিমধ্যে প্রচার হয়েছে সেগুলোর নাম এখানে আছে।
প্রসঙ্গত, দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্স প্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে- তা নির্ধারণে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১৮ অক্টোবর কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থার ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।