অর্থনীতি ডেস্ক : বন বিভাগের সাতকানিয়া মার্দাশা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারিদিকে বিদ্যুতায়ন করে রাখেন। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় লোকালয়ে আমন ধানক্ষেতে কৃষকের পাতা বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে একটি হাতি।
উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের ধানক্ষেতে শনিবার ভোরে মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজল করিম বলেন, আমি মৃত হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বন বিভাগের সাতকানিয়া মার্দাশা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া বলেন, হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারিদিকে বিদ্যুতায়ন করে রাখেন। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাতিটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মৃত হাতিটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের লোকজন পাঠানো হয়েছে। বিশালাকৃতির বন্যহাতিটির আনুমানিক বয়স ৫০ বছর বলে জানান তিনি। ধান ক্ষেতে পড়ে থাকা হাতিটি দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন।
শনিবার উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মাদী হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম। হাতিটি কী করে মারা গেল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বন কর্মকর্তা সফিকুল বলেন, বয়সের কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু, না কি হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি ময়নাতদন্ত করে নিশ্চিত হতে হবে। বণ্য প্রাণী আইনে হাতি শিকার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
হাতিটি যদি হত্যাকা-ের শিকার হয়, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সফিকুল। গত এক বছরে কক্সবাজারে অন্তত দুটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দুটোকেই হত্যা করা হয়েছিল। ২০২০ সালে ২২টি হাতি হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিল বলে পরিবেশ আন্দোলনকারীদের দাবি। সূত্র : বিডিনিউজ, নিউজবাংলা। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত