রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৪০.৭ বিলিয়ন ডলার। কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হবার পর জালানি সংকট সত্ত্বেও গত অক্টোবরে চীনের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশটির কাস্টমস এজেন্সি বলছে গত রোববার পর্যন্ত রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩শ বিলিয়নের বেশি যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। আমদানি করেছে দেশটি ২১৫.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এবং তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০.৬ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় আমদানি ও রপ্তানি দুই বৃদ্ধি পাওয়ায় তা চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রাখতে সহায়ক হয়েছে। তবে চীনের অর্থনীতিবিদরা এখনো শঙ্কা করছেন প্রবৃদ্ধি ধীরগতির মধ্যেই সীমিত থাকবে। সিএনএন
চীনের অর্থনীতি সরকারের কঠোর কোভিড সম্পর্কিত বিধিনিষেধ দ্বারা বিপর্যস্ত হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ এবং ভোক্তাদের চাহিদাকে হতাশাগ্রস্ত করেছে এবং বিদ্যুতের ঘাটতি যা কারখানার উৎপাদনকে ধাক্কা দিয়েছে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রকেরা ঋণ-বোঝাই রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ওপর ক্রাক ডাউন পরিচালনার পর আবাসন বাজারে ধীর গতি দেখা দিচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত অক্টোবরে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮৪ বিলিয়ন ডলার। গত সেপ্টেম্বরে এ উদ্বৃত্ত ছিল ৬৬.৮ বিলিয়ন ডলার। একই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার। এই উদ্বৃত্ত গত মাসে কিছুটা কমেছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে ২৫.৯ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে রুশ-চীন সীমান্তে যানজট থাকা সত্ত্বেও দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য কোভিড পূর্ব সময়ের চেয়ে বেড়েছে। গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রুশ-চীনা বাণিজ্য লেনদেন ৩০.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৫.৬৬ বিলিয়ন। গত ১০ মাসে রাশিয়ায় চীনের রপ্তানি বেড়েছে ৩০.৬ শতাংশ। আর্থিক পরিমান হচ্ছে ৫২.৯ বিলিয়ন। চীনে রাশিয়ার পণ্য ও পরিষেবার আমদানি ৩১.২ শতাংশ বেড়ে ৬২.৭৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। গত অক্টোবরে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার। জালানি সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর চীনে রাশিয়ার বিদ্যুৎ রপ্তানিও বৃদ্ধি পায়। অথচ ২০১৯ সালে রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমান ছিল ১১০.৭৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছর কোভিডের কারণে বাণিজ্য হ্রাস পায় ২.৯ শতাংশ। এর পরিমান ছিল ১০৭.৭৬ বিলিয়ন ডলার।