লিহান লিমা : গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ ২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে আপসমূলক একটি একক চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে বিশ্বের ১৯৭টি দেশ। ডয়েচে ভেলে
ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বশেষ খসড়ায় কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আপত্তি তোলে। ভারতের পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব বলেন, কোনো দেশের ব্যবহৃত জ্বালানির উৎসর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া জাতিসংঘের কাজ নয়। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের ‘কার্বন বাজেটের ন্যায্য অংশ’ পেতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ‘দায়িত্বশীল ব্যবহার’ চালিয়ে যেতে চায়।
চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার চাপের মুখে কয়লার ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি তুলে দিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়। যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কপ২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা। তাকে বেশ হতাশ দেখা যায়। এই চুক্তির মধ্যদিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতার সমস্যা সমাধান করা যায়নি। তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে কোনো প্রতিশ্রুতিই দেখা যায় নি। পরবর্তী দশকে প্রতিটি জাতিকে কতটা এবং কত দ্রুত কার্বন নির্গমন কমাতে হবে সেটিই অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান
চুক্তিতে বিশ্বনেতাদের কার্বন নির্গমন রোধে শক্তিশালী পরিকল্পনা নিয়ে আগামী বছর ফিরে আসতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য দ্বিগুণ তহবিল দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পদক্ষেপ গ্রহণে সমঝোতার এই চুক্তিকে প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গ্লাসগো সম্মেলনকে ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।