ভারতে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ শুরু করেছে রাশিয়া
রাশিদ রিয়াজ : ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়া থেকে ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতে পাঠাতে শুরু করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কিছু অংশ ইতিমধ্যে ভারতে এসে পৌঁছেছে। ২০১৭ সালে রাশিয়া থেকে ভারত এধরনের ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধিতা করে বসে। এধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে এবং ইস্তাম্বুল এ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় থেকে ন্যাটোর সদস্য হয়েও সরে দাঁড়ায়নি। রাশিয়া শেষ পর্যন্ত যেসব দেশ রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে তাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য অবরোধে হুমকি দিয়ে বসে। রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের পরিচালক দিমিত্রি শুগায়েভ বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে বলেছেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভারতে এ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ভারত সফর করবেন। দি প্রিন্ট
ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো বলছে ওই ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থার হার্ডওয়্যার ইতিমধ্যে ভারতে পৌঁছে গেছে। এ বছর শেষ নাগাদ পুরো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া চীন ও তুরস্কের কাছে ইতিমধ্যে বিক্রি করেছে।
তবে এ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের জন্যে ভারতের মাথার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টারিং আমেরিকাস এ্যাডভার্সারিস থ্রু স্যাংশন অ্যাক্টের অধীনে অবরোধের খড়গ ঝুলছে। রাশিয়ার ওপর এধরনের অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালে। একই ধরনের অবরোধের খড়গ ঝুলছে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার ওপরও। গত অক্টোবরে মার্কিন সিনেটররা একটি বিল আনে ভারতের ওপর ওই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের জন্যে অবরোধ আরোপের জন্যে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় ভারতে এ আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। গত বছর থেকে অবশ্য এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ বিশেষ ভারতে পাঠানো শুরু হয়। এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় লং রেঞ্জ রাডার, দুই ব্যাটালিয়ন লাঞ্চার (একটি ব্যাটালিয়নে ৮টি), কমান্ড পোস্ট ভেইকল, টার্গেট এ্যাকুইজিশন রাডার রয়েছে।
এক একটি লাঞ্চারের জন্যে চারটি টিউব রয়েছে। কমান্ড পোস্ট, রাডার এবং লঞ্চারগুলি মাল্টি-অ্যাক্সেল, মাল্টি-হুইল ইউরাল ক্যারিয়ারগুলিতে মাউন্ট করার পর তা অসম ভূখ-ে চলতে সক্ষম। ভারত এধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্যে ১শ লোকবলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চীনের কাছে এধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জের মধ্যে সেটি বা আগত শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম।