নিজস্ব প্রতিবেদক : ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে প্রত্যাশা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী জানান, বন্ধু দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে ১৫ লাখ টিকা ও ১ মিলিয়ন ডলারের চিকিৎসা সামগ্রী উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও করোনার দু:সময়ে সৌদি আরব কোন বাংলাদেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠায়নি। এসময় সেখানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের টিকাদানেরও ব্যবস্থা করেছে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আলদুহাইলান স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উপহারের ১৫ লাখ অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
ইসা আলদুহাইলান বলেন, করোনার পর ভিসা প্রদানের হার বেড়ে প্রতিদিন চার হাজার ভিসা দিচ্ছে সৌদি দূতাবাস। এক দিনে ৮ হাজার ৬০০ জনকেও ভিসা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমদিত টিকা নিয়ে সৌদি গেলে কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সবার জন্য করোনার বুস্টার ডোজের চিন্তা করছে সরকার। দেশের প্রায় সকলকে এবং প্রবাসীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা আগে নিশ্চিত করলে পারলে মোটামুটি একটা পর্যায়ে যাওয়া যাবে। তখন আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ ও অন্যান্য দেশে যেভাবে দেওয়া হচ্ছে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণদের দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু হবে।
টিকা মজুতের বিষয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা কিনেছে। প্রতিদিন দেশে ১৫ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে, তবে দিনে ৮০ লাখ টিকা দেওয়ারও সক্ষমতা রয়েছে। অচিরেই করোনায় মৃত্যুর হার শূণ্যে নেমে আসবে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রম চলমান থাকায় দেশে মৃত্যুর হার এক ডিজিটে নেমে আসছে। আমরা শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছি, বস্তিতেও টিকাদান শুরু হয়েছে। তবে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সৌদি সরকার যৌথভাবে টিকা তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে জানিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উভয়দেশ থেকে ডেলিগেশান পাঠানো হবে। এ বিষয়ে তারা সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।