চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলামে বিএমডব্লিউর গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে দেড় লাখ টাকা
অর্থনীতি ডেস্ক : চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলামে একটি বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে মাত্র এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া একটি মিতুসুবিশি ব্র্যান্ডের গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫০ হাজার টাকা। এই দুটি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ সম্প্রতি ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলে। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কিনতে দরপত্র জমা দিয়েছেন ক্রেতারা।
কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড বিএমডব্লিউ গাড়িটি কেনার জন্য নিলাম করা মূল্যের ১০ শতাংশ টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অনুকূলে জমা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন বলেন, পঞ্চমবারের নিলামে ১১২টি গাড়িতোলা হয়। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কেনার জন্য ৫৫১টি দর জমা পড়েছে। দর পর্যালোচনা করে নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেবে নিলাম কমিটি।
কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার তথ্য অনুযায়ী, পর্যটন সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এক দশক আগে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকরা। বন্দর দিয়ে আনার পর আটকে যায় সব কটি গাড়ি। কারণ শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধে ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে গাড়ি খালাসের শর্ত আরোপ করে কাস্টমস। তখন গাড়ি খালাস না নিয়ে সটকে পড়েন পর্যটকরা। এরপর অন্তত চার দফায় নিলামে তুলে কিছুসংখ্যক গাড়ির ভালো দাম পেলেও বিক্রি করেনি কাস্টমস। ৩ থেকে ৪ নভেম্বর অনলাইনে ও দেশের পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে এসব গাড়ির পঞ্চম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার প্রতিটি গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। নিলামে ১১২টি গাড়ি তোলা হলেও দুটি গাড়ি কেনার জন্য কেউ দর জমা দেননি।
১১ বছর ধরে বন্দরে পড়ে থাকা এসব গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। পাওয়া যাচ্ছে না কিছু গাড়ির চাবিও। ক্রেতারা এসব দেখেশুনে যেন দর জমা দিতে পারে সেজন্য গাড়িগুলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
এবার নিলামে তোলা ১১২টি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ডের গাড়ির এবার সর্বোচ্চ দর পড়েছে মাত্র ২৮ লাখ টাকা। একই ব্র্যান্ডের আরেকটি গাড়ির সর্বোচ্চ উঠেছে মাত্র ১৯ লাখ টাকা।
নিলামে কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া ফারজানা ট্রেডিং ১১টি এবং শাহাদাত হোসেন ১১টি করে গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন বলেন, নিলাম কমিটির অনুমোদন পাওয়া সর্বোচ্চ দরদাতা বিডাররা গাড়ি খালাসের সময় ১০ শতাংশ কর ও সাড়ে ৭ শতাংশ ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া কিছু গাড়ির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও লাগবে। আমরা দ্রুত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছি। বাকিটা কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সূত্র : নিউজবাংলা, চট্টগ্রাম প্রতিদিন। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত