রাশিদ রিয়াজ : গত অক্টোবরে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ডাবল ডিজিট থেকে হ্রাস পাচ্ছে না। গত সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার ১০.৬৬ শতাংশ ছিল। অথচ গত বছর অক্টোবরে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১.৩১ শতাংশ মাত্র। গত ৫ মাসে মুদ্রাস্ফীতির যে হার বেড়েছে তা পাইকারী মূল্য ভিত্তিক। জালানি তেল ও উৎপাদনশীল খাতের পণ্য মূল্য বৃদ্ধির কারণেই প্রধানত ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে। দি প্রিন্ট
গত মে মাসে ভারতে এধরনের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১৩.১১ শতাংশ। কিন্তু ভোজ্যতেল ছাড়াও জালানি তেল, ধাতব, খাদ্য পণ্য, অপরিশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্যের দাম বেড়েছে। এসব তথ্য এসেছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। গত অক্টোবরে উৎপাদনশীল খাতের পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ১২.০৪ শতাংশ। এর আগের মাসে এটি ছিল ১১.৪১ শতাংশ। গত অক্টোবরে জালানি তেল ও বিদুতের দাম বেড়েছে ৩৭.১৮ শতাংশ। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ২৪.৮১ শতাংশ। অক্টোবরে অপরিশোধিত তেলের মূল্যস্ফীতি ঘটে ৮০.৫৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৭১.৮৬ শতাংশ। তবে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতিও অক্টোবরে আগের তুলনায় মাসিক ভিত্তিতে (-) ১.৬৯ শতাংশে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেপ্টেম্বরে এটি ছিল (-) ৪.৬৯ শতাংশ। সবজির দাম কম ছিল (-) ১৮.৪৯ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ছিল (-) ২৫.০১ শতাংশ।
ভারতের অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন বাজারে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পর ভর্তুকি ও জালানির ওপর কর হ্রাস কিছুটা স্বস্তি দেবে। আগামী মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি ধরনের হবে বলে আশা করছি। ইন্ডিয়া রেটিংস এন্ড রিসার্চের প্রিন্সিপ্যাল ইকোনোমিস্ট সুনীল কে সিনহা উৎপাদন মূল্যস্ফীতি গত অক্টোবরে ১২ শতাংশের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর এটি ছিল টানা চতুর্থ মাস যেখানে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের বেশি রয়ে গেছে। জ্বালানি পরিবহন খরচের একটি প্রধান ইনপুট হওয়ায় উচ্চ জ্বালানির দাম বিতরণ ব্যয়কে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া চীন ও ইউরোপে সাম্প্রতিক কোভিড মামলার প্রাদুর্ভাব ইঙ্গিত দেয় যে চ্যালেঞ্জ এখনও শেষ হয়নি। অর্থাৎ পাইকারি মূল্যস্ফীতি কাছাকাছি সময়ে উচ্চ স্তরে থাকতে পারে।
এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ভারতের ভোক্তা মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করে খুচরা মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে বেড়ে ৪.৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এক মাস আগে ৪.৩৫ শতাংশ ছিল, কারণ উচ্চ যোগান খরচ, জ্বালানি এবং পণ্যের দামের সাথে খাদ্যের দাম বেড়েছে।