বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে বিনিয়োগ ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বিশ্বব্যাংকের শীতলতায় চীনমুখী বাংলাদেশ
সালেহ্ বিপ্লব: এশিয়ার অর্থনীতির উদীয়মান শক্তি বাংলাদেশ, এভাবেই শুরু করেছে ডিপ্লোমেট। তারপর বলেছে, গত কয়েক বছরে দেশটি অনেক এগিয়েছে, চলতি ২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২। জাতিসংঘের সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন। চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) লক্ষ্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যকে এক সুতোয় গেঁথে সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বই বিআরআই’র মূল ধারণা।
বিআরআই’র ছয় করিডোরের একটি হবে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর। কিন্তু চীনের ব্যাপারে উশখুশ আছে ভারতের, তারা বিআরআইতে সইও করেনি, তাই এটা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
উদীয়মান অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে তেমন একটা অর্থ পাাচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করেছে ডিপ্লোমেট। আর একারণেই বাংলাদেশ বিআরআই’র দিকে ঝুঁকেছে, পত্রিকাটি তাই বলেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে বিআরআই ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ যুক্ত হয় ২০১৬ সালে, সে বছর শি জিনপিং এসেছিলেন ঢাকায়।
চীন বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো ব্যবসায়িক পার্টনার। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় চীনের ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেতে চলেছে দেশটি।
এখন বাংলাদেশে বিআরআই’র আওতায় ৯টি প্রকল্প চলছে। পদ্মার সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল এবং দাসেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে এর মধ্যে। বিআরআই প্রকল্প সফল হওয়ার সবচেয়ে বড়ো শর্ত যথাযথ অর্থায়ন এবং আর্থিক লাভের সুযোগ।
বিআরআই থেকে ঋণ নেয়ার হিসেবে পাকিস্তানের পরই রয়েছে বাংলাদেশ। চীন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোরের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
পাশাপাশি বাংলাদেশেও বিশাল সব অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ চীনের, যার পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার। ঋণ পরিশোধ নিয়ে পাকিস্তান যখন বিপদে রয়েছে, বাংলাদেশ ঠিকঠাক মতো কিস্তি দিয়ে নিজেকে আগেই প্রমাণ করেছে সতর্ক ঋণগ্রহীতা হিসেবে। বিআরআইর অন্তর্ভূক্ত ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের রেকর্ড ভালো, তাদেরই এক জরিপে এ কথা জানা গেছে। তাই চীন এদেশকে ঋণ দিতে খুব একটা ভাবেনি বলেই মনে করছে ডিপ্লোম্যাট। আর সবচেয়ে বড়ো কথা বিআরআই সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ‘উইন উইন’, এভাবেই শেষ করেছেন লেখক শেখ আব্দুর রহমান।