আইএমএফ থেকে ঋণ নিতে গিয়ে পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনমনে ক্ষোভ
সালেহ্ বিপ্লব : গেলো দুমাসে দুবার তেলের দাম বাড়িয়েছেন ইমরান। সেই সঙ্গে দাম বাড়িয়েছেন বিদ্যুতের, প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এই খাতে সরকারের দেয়া ৭২ বিলিয়ন রুপির ভর্তুকি। ফলে পাকিস্তানে জ্বালানির দাম এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বেড়েছে। আইএমএফের ঋণ পেতে শর্ত হিসেবে পাকিস্তান বাধ্য হয়েছে জ্বালানির দাম বাড়াতে। ডিপ্লোম্যাট, হিন্দুস্তান টাইমস, ইয়ন
ক্ষমতায় আসার আগেপরে ইমরান নয়া পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন; দারিদ্র কমাবেন, অর্থনীতির উন্নয়ন করবেন। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে ১ কোটি কর্মসংস্থান করবেন। অথচ দেশটিতে মূল্যস্ফীতি চরমে, মানুষ খুব কষ্টে আছে।
নীতিগতভাবেও ইমরানের আচরণে বৈপরীত্য দেখতে পাচ্ছেন পাকিস্তানের জনগণ। ক্ষমতায় আসার আগে খান বলেছিলেন, কঠোর শর্তে কোনো ঋণ নেবেন না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে। কিন্তু এখন সেই টাকার জন্যেই ইমরান সরকার মরিয়া। ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করাতেই তেল-বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে দেশটি।
২০১৯ সালের ওই ঋণচুক্তি মোতাবেক পাকিস্তানকে আমদানি শুল্ক বাড়াতে হয়। আমদানি-নির্ভর দেশটিতে রুপির দাম কমে রেকর্ড পরিমাণ।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতায় এসেছে তিন বছর দু’মাস। দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।
দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে, ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও যাতায়াত খাতে মানুষের খরচ বেড়েছে ৩২ শতাংশ। খাদ্যমূল্য বেড়েছে ৪৮ শতাংশ।
মুরগীর দাম তিন বছরে ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ডিম ৭১, দুধ ৩৩, ডাল ৮৩ এবং আটার দাম ৫৯ এবং রান্নার তেলের দাম ৮৯ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থনীতির নাজুক অবস্থার মধ্যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে ইমরান সরকারকে, সেখানেও কৌশলগত ভুল করার অভিযোগ খানের বিরুদ্ধে।