বাঁশখালীতে শুটকি শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা
কল্যাণ বড়ুয়া -বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকুলীয় ইউনিয়নের সরলের কাহারঘোনা মিনজীরিতলার জালিয়াখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায়, ছনুয়া, গন্ডামারা-বড়ঘোনা, পুঁইছড়ি, নাপোড়া, শেখেরখীল, শিলকুপের মনকিচর, শুঁটকী পল্লীতে, বাহারছড়া ও খান-খানাবাদের উপকুলীয় এলাকাতে গুলোতে শুটকি শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে এ কাজে নিয়োজিত জেলেরা। শীতের শুরুতেই বাঁশখালীতে সাগর থেকে আনা শুঁটকী গুলো অনেক সময় নিজেরা আবার অনেক সময় ব্যবসায়ীরা কাঁচা মাছ কিনে শুটকি হিসাবে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে আড়তদার অথবা নিজেরা বাজারে বিক্রি করে। তবে বাঁশখালী এলাকার অধিকাংম শুটকিতে কোন ধরনের ঔষধ কিংবা ক্যামিক্যাল কম ব্যবহার করাতে এ শুটকির ছাহিদা দেশ ছাড়া দেশের বাইরে ও রয়েছে ।
বাঁশখালী বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকা হওয়াতে এ এলাকার কয়েক সহস্রাধিক মানুষের জীবন জীবিকার একমাত্র মাধ্যম বঙ্গোপসাগর। অক্টোবর মাসে সরকার কর্তৃক সাগরে মাছ ধরা নিষেধাক্ষ্য প্রত্যহার হওয়ার পর পর জেলেরা মাছ আহরণে যায় সাগরে। তবে বিগত দিনে সাগরে মাছ আহরন করতে গিয়ে বাঁশখালীর ৩১ জেলে, ১৪ জেলে, ১১ জেলে হত্যার শিকার হয়েছিল। তার পরেও জীবন জীবিকার তাগিদে বার বার ছুটে যেতে হয় বাঁশখালীর জেলেদের সাগরে। বাঁশখালীকে যে কয়টি শুটকি পল্লীতে বর্তমানে মাছ শুকানো হচ্ছে তার অন্যতম একটি হলো সরল ইউনিয়নের পশ্চিম কাহারঘোনায় অবস্থিত একটি । এখানে একই স্থানে বেশ কয়েক জন বহাদ্দার ও মাছ ব্যবসায়ীর মাছ শুকানো হচ্ছে সারি সারি ভাবে। বাঁশখালীর জেলে পল্লীতেগুলোতে শুকানো শত শত মণ শুঁটকি ক্রয় করতে চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ ও চকবাজারের গুদাম মালিকরা বাঁশখালীর ব্যবসায় ও জেলেদের অগ্রীম টাকা দাদন দিয়ে যায়। ফলে শুটকির দাম বৃদ্ধি ফেলেও আড়তদারদের কম মুল্যে শুকটি দিতে বাধ্য হয় ব্যবসায়ীরা। শুটকি শুকানোর কাজে নানা ধরনের শ্রমিক নিয়োজিত থাকে। বয়স্ক থেকে মিশু ও মহিলা শ্রমিক এ কাজ করে থাকে নিজোদের তাগিদে। তবে তাদের বেতম/ মজুরি কাজের পরিধি অনুসারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়েকজন শুটকি ব্যবসায়ী জানান , আমরা শিশুদের কাজে না রাখলেও তারা এসে বসে থাকে । অনেক সময় দেখা যায় তাদের কাজে না নিয়ে পরিবার চলে না তাদের তাই বাধ্য হয়ে কাজে নিতে হয় ্ অপরদিকে বেশ কিছু মহিলা শ্রমিক এ কাজ করে যায় নিয়মিত। তবে এ কাজ তেমন কষ্টের না হওয়াতে সহজে করা যায় বলে শ্রমিকেরা জানান ।
এক সময় সাগর এলাকায় শুটকি শুকালে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়াতে বর্তমান সময়ে তা উপকুলীয় এলাকা গুলোতে সহজেই শুটকি শুকানোর কাজ সারতে পারলেও অধিকাংশ শুটকি ব্যবসায়ী জানান তারা মাছের আড়তদার থেকে টাকা নিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াতে তারা লাভের দেখা পায়না। তেমনি একজন সরলের পশ্চিম কাহারঘোনা এলাকার শুটকি ব্যবসায়ী হাছন আহমদ বহাদ্দার। তিনি জানান শুকানোর পর তা আড়তদারদের দাম অনুসারে বিক্রি করতে হয়। আমার এ শুটকি পল্লীতে কাজ করছে অনেক শ্রমিক। তাদের কাজের পরিধি অনুসারে ৫/৬ শত টাকা করে বেতন দিতে হয় প্রতিদিন। ব্যাংক যতি আমাদের এ কাজ করার জন্য ঋন দিত তাহলে আমার এ ব্যবসার আরো অগ্রগতি হতো। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায় দের ঋন দিয়ে সাধারন জনগনের ব্যবসা করার সুযোগ দানের জন্য সরকারে প্রতি আহবান জানান ।