সবজির দাম কিছুটা কমলেও স্বস্তি নেই নিত্যপণ্য মূল্যে
মাসুদ মিয়া : রাজধানীতে শীতের সবজি শিম ভরপুর থাকায় ক্রেতাদের হাতের নাগালে চলে এসেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে কেজি প্রতি ৩০ টাকা থেকে টাকা ৩৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে শিম ছিল ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। পাশাপশি মুলা করলা দাম কমেছে। তবে বাড়তি দামে রযেছে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম। এদিকে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, একবার বাড়লেও আর কমতে চায় না। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে শীতের অন্য সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম এখনো বেশ চড়া। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও গাজর। অবশ্য সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কিছুটা কমেছে।
চালের দাম কমছে না অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা। মোটা চাল কেজি প্রতি বিক্র হচ্ছে ৪৭ টাকা। আঠাইস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা থেকে ৫৪ টাকা। পাশাপশি তেল চিনির দামও বাড়তি দামে বিক্রয় হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজধানীর লক্ষিবাজার থেকে ৭০ টাকা দিয়ে দুটি ফুলকপি কেনা কলি আক্তার বলেন, শিমের দাম হাতের নাগালে আসলেও অধিকাংশ নিত্যপন্যেও দাম চড়া দামে রয়েছে। ফুলকপি বাজারে নতুন এসেছে তাই কিনলাম। সাইজ হিসেবে দাম অনেক বেশি। দুটি ফুলকপি দিয়ে এক বেলার রান্না হবে।
শিমের এই দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম বলেন, একমাস আগে শিম কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এখন যতদিন যাচ্ছে বাজারে শিমের সরবরাহ বাড়ছে। এ কারণে দামও কমেছে।
তিনি বলেন, শিমের দাম সামনে আরও কমতে পারে। তবে কিছুদিন পর বাজারে বিচি শিম আসবে। তখন বিচি শিমের দাম বেশি থাকবে। আর বিচি ছাড়া শিমের কেজি ২০ টাকাতেই পাওয়া যাবে।
শিমের পাশাপাশি গেলো এক সপ্তাহে গাজরের দামও কিছুটা কমেছে। মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
শিম ও গাজরের দাম কিছুটা কমলেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আর আর কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এদিকে পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় থাকা অন্য সবজির মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দামও। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এক থেকে ছোট মাঝারি আকারে ইলিশ কেজি বিক্র হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি।