টঙ্গীতে আগুনে পুড়লো বস্তির ৫ শতাধিক ঘর মুহূর্তে সর্বস্বান্ত হাজারো মানুষ
হাসিব খান : শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিটের চেষ্টায় ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হাসান বলেন,
বস্তিতে প্রায় হাজার খানেক ঘর ছিল। তার মধ্যে ৫০০-এর বেশি পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ইকবাল হাসান বলেন, ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগালাগি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। বস্তিতে ঢোকার মতো রাস্তা না থাকায় আমাদের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বস্তির বাইরে থেকে পানি দিতে হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সুমন মিয়া বলেন, হঠাৎ আগুন লাগায় আমরা কিছু উদ্ধার করতে পারিনি। আমাদের যা ছিল সব পুড়ে গেছে।
স্থানীয় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, পানির সংকট থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে স্থানীয়রাও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
এদিকে বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭দিনের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন সদ্য গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান খান কিরণ। শনিবার দুপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
কিরণ বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় আগামী ৭দিন ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীকে তিন বেলা খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাদেরকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় বস্তি পরিদর্শন করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো মানবেতর জীবন পার করছেন? দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে একটি করে কম্বল দেয়া হবে বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার।